ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৭:২২ পূর্বাহ্ণ

জামায়াত কখনো বাংলাদেশের মঙ্গল চায়নি, এখনও চায় না: মিলন

বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।

শনিবার বিকেলে রাজশাহীর কেশরহাট পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “পিআর পদ্ধতি একটি অবাস্তব ও অগণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া। এ ব্যবস্থায় আপনি যাকে ভোট দেবেন, তিনিই নির্বাচিত হবেন না—এমন প্রহসনের নির্বাচন দেশে চায় জামায়াতে ইসলাম। তারাই এখন নমিনেশন দিচ্ছে, প্রচারণাও চালাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “বিএনপি যখন নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়, তখন কিছু দলের গাত্রদাহ হয়। অথচ বিএনপি চারবার দেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় গেছে।”

১৯৮৬ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলে মিলন বলেন, “সেবার নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে পরদিনই শেখ হাসিনা ও জামায়াত অংশ নেন। অথচ লালদিঘীতে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এই সরকারের অধীনে যে নির্বাচন করবে সে জাতীয় বেইমান। আর জামায়াত বলেছিল, সে হবে মোনাফেক। তাহলে আজ বেইমান ও মোনাফেক কে, সেটি জনগণ জানে।”

স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ যারা বিএনপিকে নিয়ে কটূক্তি করে, তারাই ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। জামায়াত কখনো বাংলাদেশের মঙ্গল চায়নি, এখনও চায় না। তারা ধর্মব্যবসা করে, তাই তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।”

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মিলন বলেন, “দেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলার জন্য কেউ জীবন দেয়নি। বিএনপির লাখো নেতাকর্মী গুম-খুন-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব ত্যাগের বিনিময়ে আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।”

সমাবেশের শেষ পর্যায়ে মিলন বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেশরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন আলো। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জল, জেলা সদস্য শেখ মকবুল হোসেন, পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাকসহ আরও অনেকে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print