অক্টোবর ১৫, ২০২৫ ১:৫১ পিএম

ডাস্টবিন সংকটে নন্দীগ্রাম, আবর্জনার নগরীতে পরিণত শহর

Oplus_16908288
Oplus_16908288

বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর শহরে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে চরম জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে পরিবেশ দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দুর্গন্ধ ও নোংরা পরিবেশে জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের।

শহরের কলেজ পাড়া, রহমান নগর, ফোকপাল ও সিধইলের প্রবেশ মুখ, শরীফ টাওয়ারের সামনে পরিত্যক্ত ডোবা, কলেজ মসজিদের দক্ষিণ গেটের আবাসিক এলাকা, মসজিদ মার্কেটের আশপাশ, এম.এইচ. ডিগ্রি কলেজ পুকুর, নতুন বাজারের ন্যাশনাল কেজি একাডেমির পেছনে এবং পাইলট হাইস্কুলের পেছন সহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ফেলা হচ্ছে পঁচা শাকসবজি, হোটেলের অবশিষ্ট খাবার, মুরগির নাড়িভুঁড়ি ও গৃহস্থালির অন্যান্য বর্জ্য। এসব আবর্জনার কারণে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশে, যা আশপাশের বাসিন্দা, শিক্ষার্থী, পথচারী, মুসল্লি ও ব্যবসায়ীদের চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে। জনস্বাস্থ্য এখন হুমকির মুখে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নন্দীগ্রাম পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হলেও শহরে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই। পৌর কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে মানুষ যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব বর্জ্য সড়কে গড়িয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। আবার রোদে শুকিয়ে এসব আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে মারাত্মক দুর্গন্ধ ও রোগজীবাণু।

ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, “দুই বছর ধরে শরীফ টাওয়ারের সামনে ডোবার পাশে পৌরসভার ভ্যানগাড়ি ময়লা ফেলছে। এরপর আশপাশের দোকান ও বাজার থেকে লোকজনও এখানে ময়লা ফেলতে শুরু করে। এখন পুরো এলাকা দূষিত হয়ে গেছে।” “নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা দায়ী”।স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে পরিকল্পিত ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না করলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। শহরের সৌন্দর্য ও বাসযোগ্যতা টিকিয়ে রাখতে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে পৌর কর্তৃপক্ষকে।

সমাজসেবকরা বলছেন, “নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যদি দায়িত্বশীল হতেন, তাহলে নন্দীগ্রাম আজ আবর্জনার শহরে পরিণত হতো না। ডাস্টবিন সংকট, পরিকল্পনার অভাব আর নজরদারির ঘাটতি—সব মিলিয়ে জনগণকে ভয়াবহ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এখনই কার্যকর উদ্যোগ না নিলে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।” এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমি সদ্য যোগদান করেছি। ইতোমধ্যে বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। অচিরেই একটি মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।”

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print