বাংলাদেশ-নেপাল সম্মিলিত অভিযানে হিমালয়ের ‘ডোলমা খাং’ পর্বতশিখর জয় উপলক্ষে পতাকা-প্রত্যর্পণ ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ সম্মেলনটি হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি এবং অ্যান্টার্কটিকা এবং সুমেরু অভিযাত্রী ইনাম আল হক প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ড. হোসে জিল্লুর বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশকে পুনর্জাগরণের জন্য খেলাধুলাকে অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। কেননা খেলাধুলা মাধ্যমে একটি জাতি বিশ্বের কাছে নিজেকে নতুনভাবে তুলে ধরতে পারে। এজন্য স্পোর্টসকে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনার জায়গায় নিয়ে আসা খুব জরুরি।’
বাংলাদেশ-নেপাল সম্মিলিত অভিযানে হিমালয়ের ‘ডোলমা খাং’ পর্বতশিখর জয়ে পর্বতারোহী দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, ‘যখন কোনো অভিযাত্রী দল নেপালে গিয়ে তাদের লক্ষ্যার্জনে সফল হন, তখন শুধু পর্বতই নয়, যেন আমাদেরও জয় করে নেন।’
এদিন অনুষ্ঠানে ‘ডোলমা খাং’ জয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বাংলাদেশের দলনেতা এম এ মুহিত বলেন, ‘এটা গর্বের বিষয় যে, আমরা নতুন একটি অভিযানে সফল হয়েছি। তবে আমাদের গন্তব্য ভিন্ন ছিল। কিন্তু ওয়েদার (আবহাওয়া) এবং ভাগ্য আমাদের ডোলমা খাং’য়ে পৌঁছে দিয়েছে। পর্বতশিখর জয় সবসময় আনন্দের ও গর্বের।’ এসময় অভিযানের দুই সদস্য কাজী বাহলুল মজনু বিপ্লব এবং রিয়াসাদ সানভী তাদের পর্বত অভিযানের অভিজ্ঞতার কথা জানান।
প্রসঙ্গত, গেল ১২ অক্টোবর দুই দেশের আট পর্বতারোহী ২১ হাজার ৪৪৩ ফুট উঁচু অভিজিত শিখর দোগারি হিমাল অভিযানে যান। কিন্তু ১৬ হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতায় যাওয়ার পর বৈরী আবহাওয়ার কারণে অভিযানটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন তাঁরা। তারপর ২৪ অক্টোবর ডোলমা খাং অভিযানের নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সে অনুযায়ী ২ নভেম্বর নেপাল সময় সকাল ৯টায় বাংলাদেশের চার পর্বতারোহী এম এ মুহিত, বাহলুল মজনু, ইকরামুল হাসান ও রিয়াসাদ সানভী এবং নেপালের দুই পর্বাতারোহী কিলু পেম্বা শেরপা ও নিমা নুরু শেরপা ‘ডোলমা খাং’ শীর্ষে আরোহণ করেন।
অভিযানটি যৌথভাবে পরিকল্পনা করেছে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব ও ইমাজিন নেপাল এবং স্পনসর করেছে ইস্পাহানি টি লিমিটেড, স্কায়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি বাংক লিমিটেড। বাংলাদেশ বিমান ২৫ শতাংশ ছাড়ে অভিযাত্রীদের বিমান টিকিট দেয়।
এনসিএন/এআইএ