রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে যুবদল নেতা কতৃক ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার বিচার দাবিতে নওগাঁয় বিক্ষোভ এবং মশাল মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা।
শনিবার (১২ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধাণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে আবারও মুক্তির মোড়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তারা’ চাঁদাবাজের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘একশন টু একশন’, ‘ডাইরেক্ট একশন’ ‘যুবদলের চামড়া খুলে নিবো আমরা’ ‘জ্বালোরে জ্বালো আগুন জ্বালো’ আমার ভাই মরলো কেন, তারেক জিয়া জবাব দে’সহ স্বমসরে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এছাড়াও “যুবদলের কি গুণ, পাথর মেরে মানুষ খুন” “চাঁদা তুলে পল্টনে, টাকা যায় লন্ডনে”, “চাঁদা লাগলে চাঁদা নে, আমার ভাইকে ফেরত দে” “লন্ডন না ঢাকা” সহ নানা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা, দ্রুত সোহাগ হত্যার বিচার, সারাদেশে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নওগাঁয় নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী আরমান হোসেন, তানজিম বিন বারী, জাহানে মোতায়েম যুক্তসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নওগাঁয় নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্টের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে মানুষের উপর জলুম অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। আপনারা দেখেছেন গত ৯ জুলাই চাঁদা না পেয়ে পাথর মেরে নৃশংসভাবে ঢালায় এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে। বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনগুলো দিনদিন বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। আমরা দেশ থেকে সকল প্রকার চাঁদবাজদের অবসান চাই। আমরা দ্রুত সোহাগ হত্যার বিচার দেখতে চাই।
আরেক শিক্ষার্থী তানজিম বিন বারী বলেন, শুধু ঢাকা না সারাদেশেই একটি রাজনৈতিক দল চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। আমরা ছাত্র-জনতা আজকে নওগাঁর পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা বলেছি ২৪ ঘন্টার মধ্যে নওগাঁর সকল চাঁদাবাজি বন্ধ এবং তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাদেরকে গ্রেপ্তার না করা হলে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘোষণা করা হবে।
