ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ

দুপচাঁচিয়ায় বিকাশের হয়রানির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

দুপচাঁচিয়ায় বিকাশ ডিসটিবিউটরের হয়রানির
প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন। ছবি: এনসিএন
দুপচাঁচিয়ায় বিকাশ ডিসটিবিউটরের হয়রানির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন। ছবি: এনসিএন

গতকাল শনিবার সকালে দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিকাশের ডিসটিবিউটর মেহেরুল ইসলামের হয়রানির প্রতিবাদে তালোড়া বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী আব্দুস ছোবহান সংবাদ সম্মেলন করেছেন। দুপচাঁচিয়া প্রেসক্লাবে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুস ছোবহান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার তালোড়া বাজারের “ছনেট ভ্যারাইটি ষ্টোর” নামীয় বিকাশ ও ফেক্সিলোডের দোকান রয়েছে। ২০১১ সালে থেকে তিনি বিকাশের এজেন্ট নিয়োগপ্রাপ্ত হইয়া ওই দোকানে বিকাশের লেনদেনের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বিকাশের মেসার্স জনতা এন্টারপ্রাইজের ডিসটিবিউটর (ডিওসো) তালোড়ার স্বর্গপুর গ্রামের মেহেরুল ইসলাম (২৩) বেশ কিছুদিন যাবত তাকে বিকাশের ডিপিএস খোলার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। বিকাশের এ সংক্রান্তে কোন প্রমাণ বা কাগজপত্র না থাকায় তিনি তা খুলতে অস্বীকৃতি জানায়।

পরবর্তীতে তার চাপাচাপিতে এক পর্যায়ে নিজ স্ত্রীর নামে একটি ডিপিএসও খুলেন। চলতি মাসে আবারও গ্রাহকদের ডিপিএস খোলার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। গ্রাহকরা ডিপিএস খুলতে অস্বীকৃতি জানায়। এর জের ধরে গত বুধবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে মেহেরুল ইসলাম তার দোকানে এসে বিকাশের টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে হট্টগোল শুরু করে। ডিপিএস না খুললে তার বিকাশের লেনদেন বন্ধ করার হুমকিও দেয়। এর জের ধরে পরের দিন ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকালে মেহেরুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা ৪ থেকে ৫ জন ব্যক্তি সহ একটি মাইক্রোবাস যোগে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসে এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তিনি গালিগালাজ করতে নিশেধ করলে তারা দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে জোরপূর্বক ৬০ হাজার টাকা তুলে নেয় এবং তাকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে। এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। এরপর থেকে তার দোকানের বিকাশের সকল লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে । এতে সে চরম বিপাকে পড়েছেন। তিনি এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ বিষয়ে বিকাশের উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print