ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ

ধুনটে মব সৃষ্টি করে ভাংচুর, লুটপাট

বগুড়ার ধুনটে মব সৃষ্টি করে ভাংচুর, লুটপাট ও অবরুদ্ধসহ চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের পীরাপাট গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম ২০০৮ সালে রেজিষ্ট্রি দলিল মূলে জমি ক্রয় করে ঘরবাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে শান্তিপুর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছিলো। গত ১ মাস আগে ওই এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তার মন্ডলের ছেলে শাহাদুল হোসেন মন্ডল, গেদা মন্ডল, আব্দুল কাফী, সফিকুল ইসলাম ও মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে সুকলু মিয়া, ইংরেজ উদ্দিন, কালু মিয়া সন্ত্রাসী কায়দায় গত ১ মাস আগে শহিদুলের নিকট থেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সে চাঁদা না দেওয়ায় তার বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বগুড়া কর্তৃক অধিগ্রহনকৃত সরকারী রাস্তার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে এবং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর ভাংচুর করে ভিতরে রক্ষিত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রড, সিমেন্টসহ অন্যান্য সামগ্রী লুটতারাজ করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তারা শহিদুলের পরিবারকে ঘরের ভিতর জিম্মি করে রাখে। পরে জিম্মিদশা থেকে রক্ষা পেতে সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে শহিদুল। পরবর্তিতে ধুনট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের উদ্ধার করে।

শহিদুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসীরা বর্তমানে মব সৃষ্টি করে সরকারী রাস্তার জায়গায় বেড়া নির্মাণ করে আমার পরিবারকে অবরুদ্ধ করেছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার বাড়িতে অবরুদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করিতেছি। আমার বড় মেয়ে বগুড়া নার্সিং কলেজে ও ছোট মেয়ে বাগবাড়ী শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজে লেখাপড়া করে। অবরুদ্ধ জীবন যাপন করার কারনে তাদের লেখাপড়া চরম ভাবে বিঘ্ন ঘটিতেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তির সামনের সাবেক ৩৫১ হাল ৬৭৬ দাগের ৬.৫ শতাংশ জমি বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক ২২/সওজ/২০০৪ সালে অধিগ্রহন করেছে। ওই অধিগ্রহনকৃত সম্পত্তির মূল্য বাবদ ২০,৬১৬/৭৫ টাকা মব সৃষ্টিকারী ব্যাক্তিরা সরকারী কোষাগার থেকে উত্তোলন করেছে। তারা সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহনকৃত রাস্তার জায়গায় বেড়া নির্মাণ করে গত ১ মাস যাবৎ আমার পরিবারকে অবরুদ্ধ করেছে।

শাহাদুল হোসেন মন্ডল জানান, শহিদুল ইসলামের দায়ের করা অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা তাদের ঘর ভাংচুর করিনি, কোন লুটপাটও করিনি এমন কি কোন রাস্তাও বন্ধ করিনি। আমরা বেড়া দিয়ে অন্তত তাদের চলাচল করার জন্য জায়গা রেখেছি। বরং শহিদুল ইসলাম নিজেই আমাদের মারার জন্য লোক ভাড়া করে এনেছিল। এখনও তার ভাড়া করা লোকদের ভয়ে পার্শবর্তী বাজারে যেতে পারিনা।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে গণশুনানি হবে। প্রয়োজনে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print