ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ

ধুনটে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের অফিস ভাঙচুর, নিশ্চুপ বিএনপি নেতারা

Oplus_16777216
Oplus_16777216

বগুড়ার ধুনটে বিএনপির সহযোগী সংগঠন শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।

রবিবার (৩১ আগস্ট) ভোর রাতের কোন এক সময় উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের শাকদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন অফিসে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা এ ভাঙচুর চালায়।

এসময় দুর্বৃত্তরা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের অফিসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বর্তমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি বেষ্টিত ব্যানার ভাংচুর করে। এছাড়া তারা অফিসের টিনের বেড়া খুলে ফেলা সহ অফিসের ভিতরে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র, টেবিল, চেয়ার ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি স্থানীয়রা। তবে পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বসতঃ এ ভাঙচুর হতে পারে বলে ধারণা অনেকের। তবে এঘটনায় বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের প্রতিবাদ তো দূরে থাক নিশ্চুপ থাকতে দেখা গেছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, চৌকিবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন মোফা শাকদহ গ্রামে ১৯৯৫ সালে শহিদ জিয়া স্মৃতি সংসদ প্রতিষ্ঠা করেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আমরা সংগঠনের কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারিনি। দীর্ঘদিন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অফিসের অচলাবস্থা হয়ে পড়েছিল। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অফিস টা নতুন করে মেরামত করে পুনরায় কার্যক্রম চালু করেছি। কিন্তু  দুর্বৃত্তরা অফিসের দরজা, টেবিল চেয়ার সহ অফিসের গুরুত্বপূর্ণ আসবাব ভাঙচুর করেছে।

তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, কিছুদিন আগে ধুনট বাজারে মশাল মিছিল থেকে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনার মামলায় কয়েকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এক সপ্তাহ আগে তারা জামিনে জেল থেকে বের হয়ে বাড়িতে আসেন এবং তাদের গ্রেপ্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর চড়াও হন। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় শহিদ জিয়া স্মৃতি সংসদ অফিসে ভাঙচুর হতে পারে বলে ধারনা করছি। খবর পেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোখফিজুর রহমান বাচ্চু বলেন, এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ঘটনাটি করা হয়েছে। শহিদ জিয়া স্মৃতি সংসদের অফিস ভাংচুরের ঘটনাটি দুঃখজনক। আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতকারীরা এই নোংরামির ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি। দলীয় কাজের চাপে ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। এব্যাপারে আপাতত মন্তব্য করতে পারছি না।

‎ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল আলম বলেন, জিয়া স্মৃতি সংসদের অফিস ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print