নওগাঁয় এসএসসি, দাখিল এবং সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধণা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ইসলামী ছাত্রশিবির নওগাঁ জেলা শাখার আয়োজনে পুরস্কার হিসেবে শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট, বই এবং শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।
ইসলামী ছাত্রশিবির নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রাকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, সরকারি বশির উদ্দিন কো-অপারেটিভ মেমোরিয়াল কলেজের (বিএমসি) সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ওয়ালিউল্লাহ, বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামী নওগাঁ জেলা শাখার সেক্রেটারি আ স ম সায়েম, নওগাঁ মেডিকেল কলেজের প্রাভাষক ডা. মনজুরে খোদা, শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির প্ল্যানিং এন্ড ডেভলপমেন্ট সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি সারোয়ার হোসাইনসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
আয়োজকরা জানান, ইসলামী ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে। এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীরাই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে। ছাত্রশিবির তাদের আগামী অগ্রযাত্রায় সহযোগী হিসাবে থাকতে চায়। তাদেরকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য নওগাঁ থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ৩৫০ জনকে সংবর্ধণা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শিবিরের এমন সংবর্ধনা পেয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা।
নওগাঁর হজরত খাদিজা (রা) ফাজিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ইনিয়া জাহান বলেন, শিক্ষা জীবনের বড় পরীক্ষার মধ্যে এসএসসি পরীক্ষা একটি। এখান থেকেই আমাদের উচ্চতর শিক্ষার পথ চলা শুরু হয়। আগামী দিনে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ এবং জাতির কল্যাণে কাজ করতে চাই। আমাদেরকে এমন সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য ছাত্র শিবিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আশা করি তারা আগামী দিনেও শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা শিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, যাদেরকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে তারাই আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে। তারা যদি নৈতিকভাবে সচেতন হয় তাহলে বাংলাদেশ সুন্দর হয়ে যাবে। কারণ এদের মধ্য থেকেই অনেকেই এসপি, ডিসি, ডাক্তারসহ বাংলাদেশ পরিচালনার জন্য যত জায়গা আছে সব জায়গাতেই এরাই একদিন নেতৃত্ব দিবে। ইসলামী ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের নৈতিকভাবে সচেতনতার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি আগামীর বাংলাদেশ নৈতিকতা সম্পূর্ণ মানুষেরই হবে।