নওগাঁর দুই উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে মহাদেবপুর উপজেলায়। সেখানে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চালক ও তার সহকারী নিহত হয়েছেন। অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁ শহরের পল্লী বিদ্যুতের সামনে। সেখানে পিকআপের ধাক্কায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে মহাদেবপুর উপজেলার রানীপুকুর এলাকায় এবং সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
মহাদেবপুরে নিহত দুইজনের মধ্যে একজনের নাম জানা গেছে। তার নাম সুমন মিয়া (৩৩)। তিনি দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটির চালক। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারনাই গ্ৰামে। বাবার নাম সামছুল আলম। এছাড়া নিহত ট্রাকচালকের সহকারীর নাম জানা যায়নি।
অন্যদিকে জেলা সদর এলাকার পল্লী বিদ্যুতের সামনে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ব্যক্তির নাম আবুল কাশেম (৭৫)। তিনি সদর উপজেলার ভবানীগাছী দেওয়ানপাড়া গ্রামের মৃত কুদরত প্রামাণিকের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর ৫ টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের মহাদেবপুর উপজেলার রাণীপুকুর খামারবাড়ি এলাকায় নওগাঁ থেকে রাজশাহীগামী খড়বাহী একটি ট্রাক আসে। সে ট্রাকটি উচ্চ গতিতে থাকায় চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের ধারের একটি গর্তে পরে যায়। সেখানে ওই ট্রাকের নিচে চাপা পরে ঘটনাস্থলেই চালক সুমন মিয়া ও তার সহকারির মৃত্যু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা থানায় সংবাদ দিলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে থানা পুলিশ তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে এই দুর্ঘটনার তথ্য জানাতে গিয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের বলেন, সকালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে রাস্তার এক পাশ দিয়ে হেঁটে বালুডাংগা বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন সত্তোরর্ধ্ব আবুল কাশেম। এ সময় নওগাঁ শহরের দিকে আসা একটি পিকআপ পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাশমত আলী বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন অন্তে নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় সনাক্ত করা গেলেও অন্যজনের পরিচয় এখনো সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন পিআকআপটি আটক করলেও যানটির চালক পালিয়ে যায়।
