ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৩:২০ অপরাহ্ণ

বউ চলে যাওয়ায় অভিমান; মেয়েকে নিয়ে বাবার আত্মহত্যা

নওগাঁর রাণীনগরে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবা-মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার ২ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চকের ব্রিজ নামক এলাকায় বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ওই এলাকায় রেললাইন থেকে বাবা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশ।

নিহতরা হলেন, কোরবান আলী (৩৬) ও তার মেয়ে কুহিলি (১২)। তাদের বাড়ি উপজেলা সদরের দক্ষিণ রাজাপুর (জিয়ানীপাড়া) গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে। কোরবান বাকপ্রতিবন্ধি ছিলেন।

স্থানীয়দের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে বউ চলে যাওয়ার কারণে তারা ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তারা জানান, কোরবান আলী পেশায় একজন মৎস্যজীবী। এবং বাক প্রতিবন্ধ। দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক বিষয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বিরত চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল তার স্ত্রী বাড়ি থেকে চলে যায়। ধারণা করা হচ্ছে এরই জেরে মেয়েকে নিয়ে তিনি চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেসে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন।

নিহত কোরবানের ভাতিজা মো. মোমিন জানান, সকাল ৮টার দিকে বাকপ্রতিবন্ধি চাচা কোরবান তার মেয়ে কুহিলিকে সঙ্গে করে নিয়ে রাণীনগর বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসেন। এরপর সাড়ে ১০টার দিকে চকের ব্রিজ এলাকায় রেল লাইনের উপড় তাদের বাবা ও মেয়ের দ্বিখন্ডিত মরদেহ স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে আমাদের পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়।

তিনি জানান, কোরবানের স্ত্রীর সঙ্গে কোরবানের পারিবারিক কলহ চলছিল। শনিবার থেকে কোরবানের স্ত্রী বাড়িতে নেই। কোথায় গেছে সঠিক জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে- পারিবারিক কলহের জেরে কোরবান মেয়েকে নিয়ে একসাথে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

ঘটনার খবর নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেম উদ্দীন বসুনিয়া বলেন, তার গ্রামের লোকজনের ভাষ্যমতে- পারিবারিক কলহের জেরে কোরবান মেয়েকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে একসাথে হয়তো আত্মহত্যা করেছেন। যেহেতু ঘটনাস্থল রেলওয়ে থানার ভেতরে তাই তাদের লাশ উদ্ধারের জন্য সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থল এসেছি। তাদের দুইজনের (বাবা-মেয়ের) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print