বগুড়ার ধুনটে চম্পা খাতুন (৩৮) নামের এক বিধবা নারীর ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গত সোমবার ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চম্পা খাতুন ও গ্রামের মৃত আলামিন হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৭ বছর আগে চম্পা খাতুনের স্বামী আলামিন মারা যান। আলামিন মারা যাওয়ার পর দুই সন্তান নিয়ে চম্পা খাতুন স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন। রবিবার রাতে চম্পা নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন চম্পা খাতুন অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুম থেকে না উঠায় প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে বাঁশের তীরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চম্পা খাতুনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
তবে নিহতের ভাই বেলাল হোসেনের অভিযোগ চম্পা খাতুনের স্বামী আলামিন মারা যাওয়ার পর থেকেই তার ভাসুর ও দুই জা প্রায়ই তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। তার বোনকে তারাই হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালাতে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে। লাশের শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারের পর মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
