বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন ও ডাকাতি মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম আদালতের হাজতখানার সামনে থেকে পালিয়ে যাওয়ার ২৪ ঘন্টার ভেতর পুনরায় গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে জেলার আদমদিঘী উপজেলার বাগিচাপাড়া এলাকা থেকে যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত পৌণে ১০ টার দিকে জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আতোয়ার রহমান।
জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, আসামি রফিকুল ইসলাম সু-কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার জেলা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান জেলা পুলিশ নিশ্চিত হয়ে রাত ৯ টার দিকে আদমদিঘীর বাগিচাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সদর থানায় আসামি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের হয়েছে। আগামীকাল সকালে আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।
এদিকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার এঘটনায় ওই সময় দায়িত্ব থাকা ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করেছে জেলা পুলিশ। প্রত্যাহারকৃত সদস্যরা হলেন, হাজতখানার ইনচার্জ সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) গোলাম কিবরিয়া, আতাহার আলী, আব্দুর রাজ্জাক, কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন, দুলাল মিয়া ও জাকির হাসান। পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত ছয় পুলিশ সদস্যকে আদালত থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।”
এর আগে গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে। বগুড়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতের হাজতখানায় আসামি গণনা করে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দায়িত্বরত ছয় পুলিশ সদস্য। ঠিক সে সময় ভিড়ের সুযোগ নিয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন জোড়া খুন ও ডাকাতি মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই বগুড়ার দুপচাচিয়া উপজেলার জিয়ানগরের লক্ষীমন্ডপ এলাকায় ডাকাতি করতে নিয়ে শ্বশুর ও পূত্রবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এই রফিকুল ইসলাম।
