জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রোববার (১৪ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বগুড়া জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অডিটরিয়ামে গ্রন্থপাঠ ও উপস্থিত বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে শনিবার একই স্থানে চিত্রাংকন ও কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা পুলিশ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের উপলক্ষে আয়োজিত ৫টি বিষয়ে জেলার ৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৬৫২জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছে। রোববার বেলা ১২টায় গ্রন্থপাঠ ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম।
গ্রন্থপাঠ ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগীতা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। আমাদের আত্মপরিচয় সৃষ্টি হয়েছে জাতি হিসেবে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর হাতধরে। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬দফা দাবি, ৬৯’র গণ অভ্যত্থান, ৭০’র সাধারণ নির্বাচন, ৭১’র ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যে দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ার জন্য আত্মনিয়োগ করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি বলেছিলেন, সবার আগে জনগণের সেবক হতে হবে। সবাইকে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের পথে প্রান্তরে। তোমরা আজ সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ পেয়েছো। সঠিক ইতিহাস জানতে হবে, তাহলেই দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করা সহজ হবে। তোমরা আগামী দিনের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের চালিকা শক্তি হয়ে উঠবে।
উপস্তিত বক্তৃতা ও গ্রন্থপাঠ প্রতিযোগীতার পরিদর্শনকালে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ, গাবতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিয়াজ মেহেদী, বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক এএইচএম আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রতিদিন বগুড়ার নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুর রহমান টুলু, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জেএম রউফ।
এবারে প্রতিযোগিতায় ৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেছে।
এর মধ্যে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার ৫টি বিভাগে ২০৮ জন, রচনা প্রতিযোগিতার ৩টি বিভাগে ৪০০জন, কুইজ প্রতিযোগীতার ৩টি বিভাগে ৮০৮ জন, উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার ৩টি বিভাগে ৮৬ জন এবং গ্রন্থপাঠ প্রতিযোগিতায় ৩টি বিভাগে ১৫০জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছে।
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে প্রতিষ্ঠান মিলনায়তনে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পুরষ্কার বিতরণ করা হবে।
এনসিএন/বিআর/এ
