বগুড়া শহরের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (৭ আগস্ট) সকাল ১১ টা থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত বগুড়া শহরের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল রিজভী।
জানা যায়, বগুড়ার বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে পেট্রোল, ডিজেল এবং অকটেন পরিমাণের তুলনায় কম দেওয়ার অভিযোগ ছিলো। আর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বনানীর মেসার্স হক এন্ড কোং ফিলিং স্টেশন, সদর এলাকার নিশ্চিন্তপুরের ফাতেমা ফিলিং স্টেশন, মহতী ফিলিং স্টেশন এবং সাবগ্রামের পূর্বাচল ফিলিং স্টেশনে তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তবে প্রতিটি ফিলিং স্টেশনে ৫ লিটারের পরিমাপক যন্ত্র দিয়ে জ্বালানি তেল মাপ দেওয়া হলেও কোথায় কম পাওয়া যায়নি।
অভিযান পরিচালনাকালে জ্বালানির পরিমাপ তদারকির পাশপাশি পেট্রোল পাম্পের ট্রেড লাইসেন্স, বিস্ফোরক পরিদফতর, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স দেখেন এই কর্মকর্তা। এসময় পেট্রোল পাম্পগুলোতে কারুচুপির কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের সতর্কতামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।
মহতী ফিলিং স্টেশনে অকটেন কিনতে এসে বাবুল শেখ বলেন, ‘জনগণের স্বার্থে ভোক্তা অধিকার যে অভিযানটি পরিচালনা করছে সেটাকে সাধুবাদ জানায়। তবে দীর্ঘসময় পরপর নয়, বরং এই অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করলে আমরা আরো বেশি উপকৃত হবো।’
বিষয়টি সম্পর্কে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল রিজভী বলেন, ‘জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু কিছু ফিলিং স্টেশনের বিরুদ্ধে পেট্রোলসহ অন্যান্য জ্বালানি কম দেওয়ার অভিযোগ ছিলো। তবে আজকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের যে ৪টি ফিলিং স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করেছি সেখানে কোন ধরনের কারুচুপির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
জনগণের স্বার্থে ভবিষ্যতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিন তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনায় তাকে সহযোগিতা করে জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল।
এনসিএন/এআইএ
