ঈদের আগে বগুড়ায় ৯৩০ গৃহহীন পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) এসব ঘর গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সরাসরি যুক্ত হয়ে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন তিনি।
এর আগে, রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বগুড়া জেলা প্রসাশকের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের প্রধানমন্ত্রীর ঘর প্রদান প্রসঙ্গে জিয়াউল হক বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার ছিলো ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’। মূলত তারই ধারাবাহিকতায় আমরা তৃতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলায় ৯৩০টি ঘর হস্তান্তর করব। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি আমরা।’
তিনি আরও জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপে কাঠামোতে আসছে বেশ পরিবর্তন। বাড়ানো হয়েছে গৃহ নির্মাণ ব্যয়। যে কারণে ঘরগুলো মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হবে বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
জানা যায়, বগুড়ার ১২টি উপজেলার মধ্যে সারিকান্দিতে ১৮০, ধুনটে ১৫০, শিবগঞ্জে ৬৬, সোনাতলায় ৩৫, কাহালুতে ৫৪, শেরপুরে ১০০, গাবতলীতে ৬৫, বগুড়া সদরে ৫৬, শাজাহানপুরে ৩২, নন্দীগ্রামে ১২৮, আদমদীঘি ১৫ এবং দুপচাঁচিয়ায় ৩৬টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার এ ঘর পাবেন বলে জানা গিয়েছে।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের এরই মধ্যে বগুড়ায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ২ হাজার ৩০৯টি ঘর দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, দুই শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর করে দেওয়া হয়েছে তাদের। এর সঙ্গে ছিল রান্নাঘর ও টয়লেট। আঙিনায় হাঁস-মুরগি পালন ও শাক-সবজি চাষেরও জায়গা ছিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসনের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) মামুনুর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মাসুম আলী বেগ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর কুমার পাল, এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ, নন্দীগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহসহ অনেকেই।
এনসিএন/এআইএ
