এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনকুল থাকায় বগুড়ায় এবারও বোরোর বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে জেলা নন্দীগ্রাম উপজেলায় বোরো ধান কাটা-মাড়াই চলছে। তবে ঝড় ঝঞ্জা ও শীলা বৃষ্টির আতংকে দিন কাটাচ্ছে কৃষক। অনেক ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির ভয়ে আগেই ধান কাটা শুরু করেছে। তবে আগামাী মাসের ১০ তারিখ থেকে পুরোপুরি বোরো ফসল কাটা শুরু হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, জেলায় এবার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৫ হেক্টর জামিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়। সেখানে এবার এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি। গত বছর বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়ে ছিল ৮ লাখ ৭ হাজার ৬২৩ মেট্রিকটন (চাল আকারের) । এবার সেই লক্ষ্যমাত্র ছাড়িয়ে যাবে এমনটি জানালেন কৃষি কর্মকর্তারা। এবার জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলা বিঘা প্রতি ২৪ থেকে ২৮ মন জিরাসাইল ফসল উৎপাদন হবে বলে জানান নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকর রওশন আলী। কৃষক রওশন জানান, এখন বাজারের ভেজা ধান ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর শুকনা ধান (জিরাসাইল) ধান ১০০০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা।
ঝড় বৃষ্টির আগে কৃষকরা ঘরে ধান তুলতে মরিয়া। কিন্তু জেলা ধানকাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। গত বছর বিঘা প্রতি ধান কেটেছে ৩ হাজার টাকা । এবার সেই মজুরি হয়েছে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। ধান উৎপাদের তুলনায় খরচ বেশি হয়েছে। বিশেষ করে ধান কাটা শ্রমিকের মজুরী বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেশি। কৃষক আব্দুল মতিন জানান, এবার লাভ বেশি না হলেও লোকসান হবে না।
বগুড়ায় থেকে বোরো মোট জাতের ধান বিলিন হতে চলেছে। এই অঞ্চলে সরু জাতের বোরো উৎপাদন বেড়ে গেছে।
