বগুড়া ৬ এপ্রিল ২০২২: শুক্রবার প্রায় সোয়া দুইঘন্টা মুষলধারে বৃষ্টিপতে শহর জুড়ে ব্যাপক জলাবন্ধাতার সৃষ্টি হয়। জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শুক্রবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত ৫৫ মিলিমিটির বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক হাঁটিু পানিতে ডুবে যায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাঁচা বাজারে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। বৃষ্টির পানিতে পথ-ঘাট ডুবে যাওয়ায় রিক্সাভাড়া চার গুন দাবি করে বসে রিক্সা চালকরা।
এছাড়াও শহরের অধিকাংশ ঘর-বাড়ি, স্থাপনা নকশা বহির্ভূতভাবে তৈরী হওয়ার কারনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। নকশা বহির্ভূত বহুতল ভবনগুলো পৌর কর্তৃপক্ষের নাকের ডগার উপর দিয়ে তর তর করে উর্ধমুখি সম্প্রসারন হলেও কোন পদক্ষেপ নেয় না।
বগুড়ার পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা অজুহাত হিসাবে জনবল সংকটকে সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করছেন।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সাবেক পৌর মেয়র এ্যাড. মাহবুবুর রহমান নকশা বাহিভূত স্থাপনার জন্য দায়ি করেছেন কাউন্সিলরদের। তারা যে ভাবে নকশার অনুমোন দিয়েছেন তা তারা দেখ ভাল করেন। ড্রেনের উপর সিমেন্টর স্থায়ী স্ল্যাব দিয়ে ড্রেন বন্ধ করেছেন। এই সমস্যর সমাধান করতে হলে কাউন্সিলদের ভোট নিয়ে সমস্যা হতে পারে মনে করেন সাবেক মেয়র।
ড্রেন দিয়ে বৃষ্টি অথবা বাসা-বাড়ির পানি সহজে নামতে চায়না। ফলে ড্রেনে পলিথিন, কোমল পানীয়র বোতলসহ নানা পদার্থ জমাট বাঁধে। ফলে ড্রেন থেকে দূষিত পানি উপচে পড়ে। এতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে রাস্তা-ঘাট। দুই –তিন মাস পর পর ড্রেন থেকে ময়লা আবর্জনা তুলতে নানা সময়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সমস্যায় পড়তে হয়।
এনসিএন/এএ
