বগুড়ার শেরপুর উপজেলার হাট খোলায় ফকির ওয়েল মিলের গুদামে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও এসি ল্যান্ড (সহকারী কমিশনার-ভূমি) সাবরিনা শারমিন নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে মজুত রাখা ৩১ হাজার ৮ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এই সোয়াবিন তেল ১৫২ টি ড্রামে মজুদ ছিল। প্রতিড্রামে ২০৪ লিটার সয়াবিন তেল ছিল। একই সঙ্গে তেল ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এবং সরকারি দামে মজুত করা তেল বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা শারমিন জানান তিনি অিতি মুনাফা লাভের আশায় তেল মজুত রেখেছিলেন। তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে দোষ স্বিকার করে অবৈধ মজুদের জন্য ক্ষামা প্রার্থনা করেন। ফলে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও এসি ল্যান্ড (সহকারী কমিশনার-ভূমি) সাবরিনা শারমিন তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমান করে চলে যান। এবং তেল গুলো জব্দ না করে বিক্রির পরামর্শ দেন তিনি।
অর্থদন্ড প্রাপ্ত ব্যবসায়ীর নাম আনোয়ার হোসেন ফকির (৫৫)। আনোয়ার হাটখোলা রোড এলাকার বাসিন্দা। তিনি মৃত বেলাল ফকিরের পুত্র।
এসি ল্যান্ড সাবরিনা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুত রাখা সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। তেল মজুত করার দায়ে ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ব্যবসায়ী আনোয়ার। তাকে সরকার নির্ধারিত দামে দ্রুত তেল বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
