বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডুবাতেঘর এলাকা। দীর্ঘদিন যাবৎ যেখানকার কৃষকেরা বছরে ৩ বার ধান চাষ করে আসছেন।
বোরো ও আমনের মধ্যবর্তী সময়ে তিন মাসে পতিত জমিতে আউশ ধান চাষ করে বেশ লাভবান ওই এলাকার কৃষকেরা।
বছরের এ সময়টিতে জমিতে পাকা ধান থাকার কথা না থাকলেও ডুবাতেঘরে দেখা মিলবে রাস্তার দুই পাশের জমিতে এখন সোনালী ধানের সমারোহ এবং তার পাশাপাশি নতুন ধানের চারা রোপন করার সবুজ দৃশ্য। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই সোনালী পাকা আউশ ধান কেটে কৃষকেরা উঁচু জায়গায় রেখে ধান মাড়াইয়ের কাজেও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বছরের তিন মাস জমি ফেলে না রেখে এই আউশ চাষে ব্যাপক লাভজনক হওয়ায় চাষ করার আগ্রহী হয়েছেন এলাকার অন্যান্য কৃষকও। বছরে ৩ বার ধান চাষ করে প্রতি বিঘাতে ৬০-৭০ মণ ধান পাওয়ার আশা করছেন তারা। এমনকি বোরো ও আমন চাষে কম ফসল পেলে আউশ চাষ করে তা পুষিয়ে উঠা সম্ভব বলেও জানালেন তারা।
তারা আরও জানান, কম খরচে ধান চাষ সম্ভব হওয়ায় তাদের লাভ হয়েছে। ধানের দাম পেলে তারা আরো বেশি লাভবান হবেন। সেই সাথে সার সঠিকভাবে পাওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানান।
ডুবাতেঘরের কৃষক মোঃ বুলু মিয়া জানান, ‘এখন আউশ ধান চাষ শেষের মধ্যে, তাই ধান কাটা শুরু করেছি। এর পরপরই জমি হালচাষ করে আবার আমনের চারা লাগানো হবে। আমন শেষে আবার বোরো চারা লাগাব।’
তার কথায়, এখানে জমি ফেলে রাখি না কখনও। ধান কেটে তুলেই ধানের চারা রোপন করে থাকি। কেউ কেউ এই এর মধ্যে রবি মৌসুমের ফসল (আলু ও সরিষা) চাষ করে। তবে অধিকাংশই ধান চাষেই বেশি আগ্রহী।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবু জানান, ‘নন্দীগ্রাম মূলত ধান প্রধান এলাকা। এখানে আউশ চাষ একটি অন্যতম ফসল। বিশেষ করে বোরো ও আমনের পাশাপাশি এই অর্থবছরে আমাদের ৩ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ করা হয়েছে। যা এখন কর্তন করা শুরু হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, আমরা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তাদের ধানের পাশাপাশি অন্যান্য ফসলও সঠিক ভাবে চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে করে ধানের পাশাপাশি রবি মৌসুম ফসলও যেন তারা সংগ্রহ করতে পারেন।
এনসিএন/বিআর
