ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৯:২০ পূর্বাহ্ণ

বিরাজমান খরা পরিস্থিতি নিয়ে শংকায় বগুড়ার আমন ও পাট চাষিরা

খরায় পুড়ছে মাঠ-ঘাট, ফসলী জমি। খরতাপে জমি ফেটে চৌচির। বিরাজমান খরা অবস্থা নিয়ে শংকায় বগুড়ার আমন ও পাট চাষিরা।

বৃষ্টির অভাবে কৃষক আমন রোপন করতে পারছে না। পাট চাষিরা পানির অভাবে পাট জাগ (পঁচাতে) পারছেনা।জাগ দেয়ার অভাবে অনেক জায়গায় কেটে রাখা পাট গাছ শুকিয়ে খড়িতে পরিনত হচ্ছে। পাট পরিপুষ্ট হওয়া সত্বেও অনেকে জমির পাট জমিতে রেখে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষায় আছে।

বৃষ্টির আশায় কোথাও হচ্ছে ইসতিসকার নামাজ, আবার ব্যাঙের বিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। আমন রোপনের রোপনের এখন ভরা মৌসুম। কিন্ত বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতে থাকতে আগাম জাতের আমন ধান রোপনের সময় চলে যাচ্ছে। কিন্তু বগুড়ায় কৃষক খরা অবস্থা থেকে বেরিয়ে জমিতে সেচ দিয়ে চাষ উপযোগী করে আমন রোপনের প্রান্তকর চেষ্ট চলছে।

বগুড়া সদরের খরনা ইউনিয়নের চক ভ্যালী গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন জানান, তার এলাকায় শীতকালে আগাম আলু চাষের জন্য আগাম ব্রি-ধান ৭৫, ব্রি-ধান ৮৭, বিনা-১৭, আমান রোপন হয়ে থাকে। এই ধান স্বল্প সময়ের মধ্যে কৃষক ফলন পেয়ে থাকে। কিন্তু বৃষ্টি না থাকায় তাকে সেচ দিয়ে জমি চাষ করতে হচ্ছে। তাতে তার প্রতি বিঘাতে সেচে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে। তার পত্তন নেয়া ২০ বিঘা জমিতে সেচে ইতমধ্যে ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়ছে।

এভাবে খরা অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমন চাষিদের কমপক্ষে ৪/৫ সেচ দিতে হবে। বর্ষায় আমন মৌসুমে তাদের সেচের প্রয়োজন হয় না। আষাড় মাস চলে গেছে। শ্রাবন মাসেও বৃষ্টি দেখা নেই। বৃষ্টি অপেক্ষা থাকতে থাকতে অনেকে সেচ দিয়ে জমি প্রস্তুত করেছে।

এর আগে অতি বৃষ্টিতে বোরো উৎপাদন কম হয়েছে। এবার খরা অবস্থা অব্যহত থাকলে আমনে বিপর্যয় দেখা দেয়ার আশংক প্রকাশ করছেন কৃষকরা।

অধিকাংশ জমিতে কৃষক লাঙল দিতে পারেনি। জেলার কৃষি সম্প্রসারন অধদিপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, জেলায় এবছর ১ লাখ ৮২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধরন করা হয়েছে। খরা অবস্থা চলতে থাকলে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌছনো যাবেন। তবে কৃষক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেচ দিয়ে আমন চাষ করছে।

এ দিকে পাট উৎপাদন অঞ্চল বগুড়া সারিয়াকান্দির অনেক জায়গায় পাট কাটা হচ্ছে। বৃষ্টির অভাবে ডোবা খাল -বিল এমনকি নদীর পানি শুকিয়ে গেছে।

পাট জাগ দেয়ার মত পানি পাওয়া যাচ্ছে না এমনটি জানালেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা সদরের পাট চাষি আজগর আলী জানান, এবার পাটের ভাল দাম পাওয়ার আাশায় ২৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। পাট পরিপুষ্ট হয়েছে। বেশ কিছু জমির পাট কেটেছেন। কিন্ত খরা পাটে জাগ দিতে বাগড়া দিয়েছে। এবার শুরুতে পাট ২৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পানির অভাবে পাটে ঠিকমত জাগ দিতে না পারায় পাটের মান ভাল হয়নি।

এনসিএন/এএ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print