আগস্ট ১৬, ২০২৫ ১১:০০ পিএম

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

Oplus_16777216
Oplus_16777216

জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোপত্র দিয়েছে সিআইডি।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশন্স) এনামুল হক।

তিনি বলেন, আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকার অপরাধ আমলে নিয়ে সব আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ তামিল-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গত ২৭ মার্চ শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একই আদালতে মামলাটি করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার এনামুল হক। এর পর সিআরপিসির ১৯৬ ধারায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে সিআইডির এই কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে ২৮৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে শেখ হাসিনাসহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেশবিরোধী বক্তব্য ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন। এ বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

মামলায় বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর অনলাইন প্ল্যাটফর্মের বৈঠকে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ গঠন করে গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়া এবং তা নিশ্চিতকরণের জন্য শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত যুদ্ধ করে যাবেন বলে অনেকে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মোট ৫৭৭ জন অংশগ্রহণকারী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই জুম মিটিংয়ে অংশ নেন।

এজাহারে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সহসভাপতি রাব্বি আলমের হোস্টিংয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং হোস্ট, কো-হোস্ট ও অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের কথোপকথনের ভয়েস রেকর্ড পর্যালোচনায় জুম মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারীরা বৈধ সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে দেশ পরিচালনা করতে দেবে না বলে আলোচনা হয়।

সিআইডি বলছে, এতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধের সুস্পষ্ট উপাদান রয়েছে বলে প্রতীয়মান হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলাটি করা হয়। আদালত তা আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print