দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে বুস্টার ডোজ দিবস। যার অংশ হিসেবে বগুড়ায় সকাল নয়টা থেকে শুরু হয়েছে ১ লাখ টিকাদান কর্মসূচি। যা চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বগুড়ায় ১ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর এখনো যারা দ্বিতীয় ডোজ নেননি, তারা আজ দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন।
এদিন সকাল ৯টা থেকে মানুষের উপস্থিত চোখে না পরলেও ১০টার পর শহুরে মানুষদের টিকা নিতে আসতে দেখা যায়।
এদিকে করোনা টিকা দেওয়ার নিয়মিত কেন্দ্র ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ও কমিউনিটি ক্লিনিকে দেওয়া হচ্ছে এই টিকা।
বগুড়া জেলা সিভিল সার্জল ডাঃ শফিউল আজম জানিয়েছেন, জেলার ১২টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ১০৯টি ইউনিয়ন পরিষদ, পৌর এলাকায় ৪৮টি টিমে মোট ১২৩০ জন টিকাদান কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত আছেন। এছাড়াও আজ যেসব এলাকায় টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়নি সেসব এলাকায় পর্যায়ক্রমে টিকাদান কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই চিকিৎসক।
তিনি আরও বলেন, ‘বগুড়ার কিছু ইউনিয়নে ইপিআই কার্যক্রমের কারণে শিশুদের টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আগামী দু-একদিনের মধ্যে তাদেরও টিকা কর্মসূচীর আওতায় আনা হবে।’
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের টিকাদানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র স্টাফ নার্স আল্পনা আক্তার জানান, ‘বগুড়ায় করোনা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে আছে কিন্তু বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে।’
বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের টিকাদান কেন্দ্রের কর্মরত শারমিন সুলতানা বলেন, টিকা কেন্দ্র গুলোতে করোনার বুস্টার ডোজ নিয়ে টিকাদান কর্মীরা বসে আছে, বুস্টার ডোজ নিতে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান তিনি।
এনসিএন/বিআর