অক্টোবর ২, ২০২৩ ৮:০৫ এএম

মুখস্থ বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয় : দীপু মনি

মুখস্থ বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, যে ভবিষ্যতের জন্য আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের তৈরি করছি, সেই ভবিষ্যতে মূল দক্ষতাই হবে শিখতে পারার দক্ষতা। সেখানে একজন শিক্ষার্থীর যোগাযোগের দক্ষতা, সূক্ষ্ম চিন্তার দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, অনেকের সঙ্গে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে। আর যে শিক্ষার্থী যত বেশি সৃজনশীল ও মুক্তচিন্তা করবে, সেই শিক্ষার্থী এসব বিষয়ে ততই দক্ষ হয়ে উঠবে। মুখস্থ বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব হবে না।

সোমবার (২২ মে) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় দিবসগুলোতে বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

দীপু মনি বলেন, শিক্ষায় রূপান্তর গড়ানোর জন্য আমরা নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এসেছি। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি নতুনভাবে করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সব শ্রেণিতে এই নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা একজন শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, সৃজনশীল কাজে ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীরা যেভাবে জড়িত, ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা সেভাবে জড়িত নয়। শহরের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বাইরে কিছু করতে দেওয়া হয় না। বলা যায়, শহরের শিক্ষক-অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের মানসিক নির্যাতন করছেন। ভালো ফল করার চাপ দিয়ে তাদের জীবন বিপন্ন করে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই ১৬ বছর বয়সের আগে শিক্ষার্থীকে মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। অথচ আমাদের দেশে ১০ বছর বয়স হলেই একটি ছেলেকে মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ শিক্ষার্থীর যখন মেধা অর্জনের সময়, শিক্ষা গ্রহণের সময়, তখন তাকে মেধাবী শিক্ষার্থীর তকমা দিয়ে নির্যাতনের মুখে ফেলে দেওয়া হয়। আমরা তাকে মূল্যবোধ শেখার কোনো সুযোগ দিচ্ছি না, সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ দিচ্ছি না।

ফলাফল নির্ভরতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ফলাফল নির্ভরতা থেকে বের না হলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ আমরা ধরতে পারব না। আজ একজন শিক্ষার্থী মুখস্থ করে ভালো ফল করলেও শিল্প বিপ্লবের পর্যায়ে এসে তাকে নতুন করে শিখতে হবে। না হলে সে টিকে থাকতে পারবে না।

মাউশির পরিচালক (প্রশাসন) শাহেদুল খবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান প্রমুখ।

এনসিএন/বিআর

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সম্পর্কিত