রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে সংকট তৈরি হয়েছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে।জ্বালানি তেলের স্পট প্রাইস যেভাবে বেড়েছে, সেটা বেশ উদ্বেগজনক। এ কারণে দেশে বিদ্যুতের সমস্যাও বেড়েছে। এই অবস্থায় দেশের অর্থনীতিতে আগামী ছয় মাসের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জ্বালানি সংকট বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মিট দ্য ওক্যাব অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বিদেশি সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিনিধিদের সংগঠন ওভারসিজ করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওক্যাব) এ সভার আয়োজন করে।
আরো পড়ুনঃ ক্ষুধা নিয়ে শ্রীলঙ্কান শিশুদের ঘুমাতে হচ্ছে: জাতিসংঘ

সালমান এফ রহমান আরো বলেন, ‘বিশ্বরাজনীতি ও বাণিজ্যে বাংলাদেশ সব সময়ই ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। সম্প্রতি রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই ভারসাম্যের ক্ষেত্রে কিছুটা চাপ তৈরি হলেও আমি মনে করি, এটা তেমন একটা প্রভাব ফেলবে না। কারণ, বর্তমানে প্রতিটি দেশই তাদের জাতীয় স্বার্থ অনুসারে বৈদেশিক সম্পর্ক ঠিক করছে। ইউরোপ–আমেরিকাও এ বিষয়ে তাদের ধারণায় পরিবর্তন এনেছে। ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে সবার সঙ্গে আলোচনা ও যোগাযোগ বাড়ানো। আর বাংলাদেশ এই কাজ করছে।’
লোডশেডিং কমানো নিয়ে সরকার কাজ করছে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমরা গুরুত্বের ভিত্তিতে রেশনিং করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। তবে কোনোভাবেই যেন শিল্প খাতে এর প্রভাব না পড়ে, সেই চেষ্টা আছে। আর আসছে শীতে বিদ্যুতের ব্যবহার কমে যাবে। তখন লোডশেডিংও কমবে।’
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের নীতিতে আছি। এখনই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ওক্যাবের আহ্বায়ক কাদির কল্লোল, সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম, সদস্য জুলহাস আলম, শফিকুল আলম, সিরাজুল ইসলাম কাদির, ফরিদ হোসেন, পারভীন চৌধুরী, ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।