জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে ফোর লেনে অবকাঠামো নির্মানে । ইতমধ্যে কাজের ৫৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এমন দাবী সাসেক্স-২ এর প্রকল্প কর্মকর্তা।
কিন্তু জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে সহকারি ঠিকাদাদের পরিবহন ব্যায় বেড়ে যাওয়ায় তারা নির্মান কাজের সহকারি ঠিকাদাররা হাত গুটিয়ে নিয়েছেন। প্রকল্পে কর্মকর্তারা বলছেন তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছেন। সহকারি ঠিকাদাররা হাত গুটিয়ে নেয়ায় ফোরলেনের কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। তবে আন্ডার পাস ও ওভার পাসের কাজ চলছে যথারীতি।
আরো পড়ুনঃ ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ পুন:নির্মানের অনুমোদন
ভালো ভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে রংপুর পর্যন্ত সাসেক্স-২ প্রকল্পের ফোর লেনের কাজ। কিন্তু জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে ফোর লেন নির্মান ধাক্কা খাচ্ছে। সিরাজগঞ্জর বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে রংপর পর্যন্ত ১৭৫ কিলোমিটারে সড়ক নির্মানের কাজের সহকারি ঠিকাদার (সাব কন্টাকটার) নির্মান সামগ্রীর সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। তারা বলছেন তাদের পরিবহন ব্যায় বেড়ে যাওয়ার বর্তমান মূল্যে তাদের পক্ষে নির্মান কাজের সামগ্রী সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
সিরাজগঞ্জ থেকে রংপূর পর্যন্ত সাসেক্স-২ প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর জয় প্রকাশ চৌধুরী কাজের গতি কমে যাওয়ার বিষয়ে সত্যতা স্বিকার করেছেন। তিনি বলেন, মূল ঠিকাদারদের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করতে হবে। হয়তো তারা পর্যবেক্ষন করছেন। তারা ভাবছেন ঠিকদাররা অন্যদিকে ব্যায় কমিয়ে সন্ময় করতে পারেনকি না। তিনি আরো বলেন, এডিবি মিশন এই প্রকল্পের কাজ পর্যবেক্ষন করেছেন। তারা জানিয়েছেন ত্রব্যমূল্যে কি ধরনের প্রভাব পড়েছে বিষয়টি অর্থ মন্ত্রনায়ল পর্যবেক্ষন করছেন এবং ১৫ দিন পরে একটি ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেন, কাজে স্থবিরতার কথা অস্বিকার করেননা।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যের ভিত্তিতে দর সন্ময়ের ব্যবস্থা আছে। দর সমন্ময়ের আমরা পরিসখ্যান ব্যুরো পরিসংখ্যান ব্যবহার করি। ঠিকাদারদের বসে থাকার কোন সুযোগ নেই।
এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মনিকো লিমিটেড এর আরমান হোসেন জানান, সহকারি ঠিকাদাররা তেলের মুল্যে বৃদ্ধির পর থেকে ট্রাক ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় সাব কন্ট্রাক্টররা নির্মান সামগ্রীর সরবরাহে অনিহা প্রকাশ করছে। সেকারনে কাজের গতি কমে গেছে। বলতে গেলে কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।