মে ৮, ২০২৪ ১২:৫০ পিএম

বগুড়ার বাজারে কমেছে শসা, ঢেঁড়স, কাঁচা মরিচ ও লেবুর দাম

বগুড়ার বাজারে শসা, লেবু, কাঁচা মরিচ, ঢেঁড়স, বেগুন, সজিনাসহ সকল সবজি এখন মানুষের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে। ফিরে এসেছে ক্রেতারদের ভেতরে স্বস্তি।

বগুড়ার পাইকারি বাজার মহাস্থান হাটে প্রচুর গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ বেড়েছে। কিছুদিন আগেও শসা ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। আবহাওয়া গ্রীষ্মকালিন সবজির অনুকূলে থাকায় উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ এমনটি জানালেন মহাস্থান হাটে শসা বিক্রি করতে আসা শিবগঞ্জ উপজেলার সলিম মোল্লা।

তিনি ক্ষেত থেকে হাটে পাইকারদের কাছে শসা (দেশী) বিক্রি করছেন ১২ টাকা কেজি। সেই শসা জেলা শহরের পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি, খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি।

শহরের পাইকারি বাজারেও খুচরায় সবজি বিক্রি হওয়ায় ঐ বাজারে ক্রেতার সবজি ক্রয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। হাট থেকে ৩ হাত ঘুরে খুচরা বাজারে শসা ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়ায় শহরের মানুষ শহরের পাইকারি বাজারকে বেছে নিয়েছে। খুচরা বাজারে হাইব্রীড শসা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজি। মহাস্থান হাট থেকে পাইকারদের হাইব্রীড শসার বিক্রি হয়েছে ৫ টাকা কেজিতে।

ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে নাম মাত্র মূল্যে। ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে এক কেজি ঢেঁড়স।

এক সময় যে কাঁচা মরিচের দাম ডবল সেঞ্চুরীতে উঠেছিল স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে। বেগুন ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় মিলছে বগুড়ার পাইকারি বাজারে। গত কয়েকদিন আগে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি। ১৫০ থেকে ২০০ টাকার সজিনা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

মহাস্থান হাটের কৃষক নইম উদ্দিন জানান, এখন হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও অতি বৃষ্টি হলে দাম বেড়ে যাবে। তবে এখন সবজি বিক্রি করতে আর ক্রেতাদের সাথে বাকবিতন্ড হয়না। লেবু বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা থেকে ২০ টাকা হালি। অথচ রমজানে মানুষ লেবুর ধারে কাছে যেতে পারেনি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print