মে ১০, ২০২৪ ৯:২০ এএম

বগুড়া পৌর প্যানেল মেয়র পরিমলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

বগুড়া পৌরসভা প্যানেল মেয়র ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস।
বগুড়া পৌরসভা প্যানেল মেয়র ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস।

বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র পরিমল চন্দ্র দাসের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত প্রায় এক কোটি ২৬ লাখ টাকা অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার বগুড়া জেলা দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। প্রায় সাত মাস ধরে অভিযুক্তের সকল আয় সম্পদ বিশ্লেষণ করে এই মামলা দায়ের করা হয় বলে জানান দুদকের সহকারী পরিচালক।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামী পরিমল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সালে দুর্নীতির অভিযোগ দাখিল হয়। এরপর তা প্রাথমিক তদন্ত শেষে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (১) ধারা অনুযায়ী সম্পদ বিবরনী দাখিল করার নির্দেশ দেয় দুদক। পরের বছর ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ সম্পদ বিবরনী দাখিল করেন পরিমল। পরিমল তার সম্পদ বিবরনীতে ২ কোটি ৫২ লাখ ২৪ হাজার তিন টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পদের বিবরণ দেন। পরবর্তীতে দুদকের অনুসন্ধানে পরিমল চন্দ্র দাসের স্থাবর অস্থাবরসহ মোট সম্পদের পরিমাণ দাড়ায় ২ কোটি ৬০ লাখ ৯৩ হাজার ৩৫৭ টাকা। তার মোট দায় রয়েছে ৪৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৩২ টাকা। মোট সম্পদ ও দায়ের ব্যবধানে নীট সম্পদের পরিমাণ দাড়ায় ২ কোটি ১২ লাখ ৭৬ হাজার ৬২৫ টাকা।

পরিমলের আয়কর নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায় পারিবারিক সকল ব্যায় বাদ দিয়ে মোট আয় পাওয়া যায় ৮৬ লাখ ৮৩ লাখ ৪৭৭ টাকা। তবে এসব ছাড়াও দুদকের অনুসন্ধানে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৫ লাখ ৯৩ হাজার ৪১৮ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়। যা আয়কর বিভাগ ও দুদকের কাছে কখনোই দাখিল করেনি পরিমল। যা গোপনীয় ও অবৈধ সম্পদ হিসেবে গণ্য হয় দুদকের কাছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো: হাফিজুর রহমান বলেন, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দেয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) এবং অবৈধ সম্পদ ভোগ দখল করায় ২৭ (১) ধারায় অপরাধের দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print