মে ১৭, ২০২৪ ৩:১৭ পিএম

বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির তালিকায় ৪৬ ব্যাংক কর্মকর্তা ও ১০১ গ্রাহক

বেসিক ব্যাংক
বেসিক ব্যাংক

বেসিক ব্যাংকের মতো ভালো একটি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংককে কেলেঙ্কারিময় ব্যাংকে পরিণত করার হোতা ছিলেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই ওরফে বাচ্চু। তারপরও তাঁকে সম্মানের সঙ্গে পদত্যাগের সুযোগ করে দিয়েছিল সরকার।

পরের আট বছর আত্মসাৎ করা অর্থে বাড়ি ও জাহাজ কিনে আরাম-আয়েশেই জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। এ নিয়ে বারবার আদালতের তিরস্কারের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি সংসদ সদস্য ও বিশেষজ্ঞদের বিরূপ সমালোচনার পর অবশেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে আসামি হলেন তিনি।

আরো পড়ুনঃ ৫৮ মামলায় আসামী বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির হোতা শেখ আবদুল হাই

আসামির তালিকায় আছেন ব্যাংকের ৪৬ জন ব্যাংক কর্মকর্তা এবং ১০১ জন গ্রাহক। শেখ আবদুল হাইয়ের পাশাপাশি অন্য আসামিরা হলেন ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ফখরুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) কনক কুমার পুরকায়স্থ, মো. সেলিম, এমদাদুল হক, ফজলুস সোবহান, প্রধান কার্যালয়ের ঋণ কমিটির সদস্যসচিব এ মোনায়েম খান, মহাব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান, শাহজাহান মোল্লা ও মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপমহাব্যবস্থাপক খান ইকবাল হাসান, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আশরাফুজ্জামান, ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. জালাল উদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী, সহকারী ব্যবস্থাপক এস এম আনিসুর রহমান চৌধুরী, গুলশান শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক শীপার আহমেদ, একই শাখার ঋণ বিভাগের প্রধান এস এম জাহিদ হাসানসহ দিলকুশা শাখা ও স্থানীয় কার্যালয়ের আরও কয়েকজন কর্মকর্তা।

সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে ৪৮টি মামলায়। এ ছাড়া তৎকালীন ডিএমডি ফজলুস সোবহান ৪৭ টি, কনক কুমার পুরকায়স্থ ২৩টি, মো. সেলিম ৮টি, বরখাস্ত ডিএমডি এ মোনায়েম খান ৩৫টি মামলার আসামি। এ ছাড়া ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান ও এসব ঋণ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জরিপকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীরাও আসামি।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, পর্ষদ সভার আলোচ্যসূচিতে না থাকা বিষয়ও শেখ আবদুল হাই, ব্যাংকের এমডি কাজী ফখরুল ইসলাম ও তৎকালীন কোম্পানি সচিব পাস করে নিয়ে যেতেন।

ব্যাংকের তৎকালীন পরিচালক এ কে এম রেজাউর রহমান আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে অভিযোগ দিয়ে জানিয়েছিলেন, ব্যাংকটিতে আবদুল হাই কীসব অপকর্ম করছিলেন। এরপর ওই পরিচালক আর বেসিক ব্যাংকেই ঢুকতে পারেননি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print