মে ৯, ২০২৪ ২:৩৪ এএম

মুড়িকাটা পেয়াজের উৎপাদন খরচ কম হলেও ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে বাড়তি দামে

মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজের মূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকছে না। পেঁয়াজ উৎপাদন খরচ ১৩ টাকা ৭০ পয়সা হলে ক্রেতাদের মৌসুমের শুরুতে একশ টাকার বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

এক কেজি পেয়াজ উৎপাদনে কৃষকের খরচ হচ্ছে (জমির ভাড়া, বীজের খরচ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরীসহ) ১৩ টাকা ৭০ পয়সা। উৎপাদন খরচ এতো কম হলেও বাজারে মূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান বলেন, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় মূল্য বৃদ্ধির মূল কারণ। গত এক মাস আগেও বাজারে পেঁয়াজের পর্যপ্ত সরবরাহ ছিল। তখনও পেঁয়াজের মূল্য ছিল আকাশ ছোঁয়া। কেন দাম কমছে না এর জন্য আরো তথ্য অনুসন্ধান করতে হবে। তিনি বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদন অঞ্চলগুলোতে পোঁয়াজের দাম বেশি। কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, মুড়ি কাটা পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ হালি পেঁয়াজের চেয়ে বেশি। উৎপাদন খরচ ১৩/১৪ টাকা আর ক্রেতাকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এর কোন সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।

বগুড়া রাজা বাজারের আড়ৎদার ও আমদানিকারক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, মুড়ি কাটা পেঁয়াজের স্টক এখন সীমিত হয়ে আসছে। এখন হালি পোঁয়াজ লাগানোর সময়। তিনি বলেন, গত বছর এই সময় মুড়ি কাটা প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। কিন্তু এবার এই অবস্থা কেন তার হিসাব মেলাতে পারছেন না আড়ৎদার ও আমদানিকারক। তিনি মনে করেন, পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম বাড়তো না। বগুড়ার বাজারে বুধবার পাইকারিতে ভালোমানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা কেজি। ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০/৮৫ টাকা কেজি। বগুড়া ফতেহ আলী বাজারের খুচরা বিক্রেতা মতিয়ার রহমান বলেন, দুই দিনের ব্যবধানে বগুড়ায় পাইকারি ও খুচরাতে কমেছে ৫ থেকে ৭ টাকা।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print