মে ১০, ২০২৪ ৪:৪৯ এএম

শাজাহানপুরে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে সভাপতি করতে প্রধান শিক্ষকের কান্ড!

বগুড়া শাজাহানপুরের মাঝিড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কারাবন্দি সাবেক এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে উপস্থিত দেখিয়ে ব্যাক ডেটে কমিটির প্রথম সভা দেখিয়ে সদস্যদের কাছ থেকে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

এমন অভিযোগে আবুল খায়ের নামে মাঝিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আবুল খায়ের জানান, গত ৩ এপ্রিল মাঝিড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী। কমিটির সভাপতি মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদ্য বহিস্কৃত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান।

কমিটি অনুমোদন হওয়ার পর প্রথম সভার রেজুলেশন বোর্ডে পাঠানোর আগেই গত ৬ এপ্রিল শাজাহানপুর থানায় হামলা মামলায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হোন সভাপতি নুরুজ্জামান। বর্তমানে তিনি কারাভোগ করছেন। এমতাবস্থায় গত ২১ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক কমিটির প্রথম অধিবেশন আহবান করেন। সভায় সভাপতি নুরুজ্জামান অনুপস্থিত থাকায় বিধি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য আব্দুল হাকিমকে সভাপতি করে রেজুলেশন খাতায় সকল সদস্যগন স্বাক্ষর করেন। কিন্তু প্রথম অধিবেশনের একদিন পরেই গত ২৩ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক অজ্ঞাত কারণে পুনরায় সভা ডেকে কারাবন্দি নুরুজ্জামানকে উপস্থিত দেখিয়ে তাকে সভাপতি করে ব্যাক ডেটে পুনরায় সদস্যদের কাছ থেকে স্বাক্ষর করে নেন। এতে কমিটির অন্যান্য সদস্যরা প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক কর্ণপাত না করে সভাপতি নুরুজ্জামানের ভয়ভীতি দেখান। এঘটনায় গত ২৪ এপ্রিল ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

কমিটির অভিভাবক সদস্য ইউপি সদস্য জাহিদুর রহমান জানান, প্রথম মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে দাতা সদস্য আব্দুল হাকিমকে সভাপতি করে রেজুলেশন খাতায় সাক্ষর করা হয়েছে। একদিন পর প্রধান শিক্ষক ফোন করে সদস্যদের ডেকে নিয়ে আবারো সাক্ষর করে নিয়েছেন। কিন্তু কোন সদস্যই জোরালো প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।

প্রধান শিক্ষক মির্জা দিলরুবা লাকী জানান, এধরনের কোন কাজই তিনি করেননি। এবিষয়ে আর কোন কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন জানান, বিষয়টি জানতে পেরে তিনি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেছেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা অস্বীকার করেছেন। ঘটনা এরকম হলে এর দায়ভার তাকেই নিতে হবে বলে প্রধান শিক্ষককে হুশিয়ার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহসিয়া তাবাসসুম জানান, অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print