সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫ ১০:২৫ পিএম

ঘোরার স্বপ্ন দেখেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাসিম

একজন ভ্রমণপিপাসু কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ছুটে বেড়ান দেশের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত। উদ্দেশ্য, নেটিজেনদের গ্রাম-বাংলার মুগ্ধ দৃশ্য দেখানো। এজন্য তিনি ভ্রমণ ভিডিও আপলোড করেন নিয়মিত। দর্শকমহলে ব্যাপক চাহিদার কারণে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করেন নিজস্ব পেজে। 

নাসিম হায়দার বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার কৃতি সন্তান, জন্ম ২০০২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। তিনি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ওটরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকস ইন্সটিটিউটে ৪ বছরের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সিরামিকস ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হন। ২০২৩ সালে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সফলভাবে শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ গমনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

নাসিম হায়দার ছাত্রজীবন থেকেই একজন সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন কয়েকটি সংগঠনের হয়ে। তার কারণ, এসবে অভিজ্ঞতার ঝুলি বড় হবে আর নেতৃত্ব চর্চার দারুণ মাধ্যম হবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন নেটওয়ার্ক তৈরি, ক্যারিয়ারের লক্ষ্য নির্ধারণ, নতুন দক্ষতা তৈরি, আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, সামাজিক যোগাযোগ এবং শৈশবে ঘটে যাওয়া সব বিষণ্নতা ভুলতে সহায়ক করবে।

২০২০ সালে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে মহামারি করোনা ভাইরাস। তখন নাসিম হায়দার দেশের মানুষের পাশে একজন সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন (বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির) ঢাকা জেলা ইউনিটে। কাজ করেন মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে হাসপাতালে ভ্যাক্সিনেশন প্রোগ্রামে। মানুষের স্বাস্থ্য-সচেতনতামূলক সব কার্যক্রমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট হাসপাতালে প্রতিনিয়ত (কোভিড-১৯) মহামারিতে কাজ করেন।

নাসিম হায়দার ছাত্রজীবনে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ঢাকা জেলা ইউনিটে; বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকস রোভার স্কাউটস গ্রুপ, ঢাকা জেলা রোভার; বাংলাদেশ স্কাউট এর হয়ে। এবং ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কাজ করেন প্রাইভেট সংগঠন রবিনহুড দ্য অ্যানিম্যাল রেস্কিউয়ার’র স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে। এবং বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি, সেচ্ছায় রক্তদান সংগঠনের সাথে এখনও কাজ করছেন।

নাসিম হায়দারের ভাষ্য, আগামীর প্রতিটি সময় তিনি এভাবেই মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চান। কারণ, জীবন মানেই এগিয়ে যাওয়া। আর প্রতিটি পদক্ষেপই একেকটি নতুন অভিজ্ঞতা।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print