অক্টোবর ১, ২০২৫ ৩:১৪ এএম

করতোয়া নদী দখলের অভিযোগে টিএমএসএস’কে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

বগুড়ায় করতোয়া নদী দখলের অভিযোগে টিএমএসএস'কে ১০ লাখ টাকা জরিমানা। ছবিঃ এনসিএন
বগুড়ায় করতোয়া নদী দখলের অভিযোগে টিএমএসএস'কে ১০ লাখ টাকা জরিমানা। ছবিঃ এনসিএন

বগুড়া সদর উপজেলার শাখারিয়ার জঙ্গলপাড়া এলাকায় করতোয়া নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করে রাস্তা তৈরির অভিযোগে টিএমএসএসকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে সিনিয়র সহকারী পরিচালক নজিবুর রহমানকে ৩ মাসের বিনাসশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুর ১ টায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই রায় দেন সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) মোছা. ফিরোজা পারভীন।

জানা যায়, করতোয়া নদীর একাংশে মাটি ভরাট করে নদীর উপর রাস্তা তৈরি করার অভিযোগে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) কে দশ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জরিমানার পরিশোধ না করলে তিন মাসের কারাদণ্ড যা টিএমএসএসের এক কর্মকর্তা ভোগ করবেন বলেও জানান আদালত। 

এর আগে গত শনিবার(১৮ মার্চ) নদী ভরাটের অভিযোগ পেয়ে টিএমএসএসের ইকো পার্কে  ইউএনও ফিরোজা পারভীন অভিযান চালান। পরে কাগজপত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন টিএমএসের নির্বাহী পরিচালক হোসনে-আরা বেগম। তিনি দাবি করেন, যে জায়গা ভরাট করা হচ্ছে সেটি তার নিজের জায়গা। এর পরে হোসনে-আরা বেগমের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। টিএমএসএস যদি নদীর জমি ভরাট করে বা নদীর সীমানা অতিক্রম করে তাহলে দুই-পক্ষের সার্ভেয়ার দিয়ে জরিপ করা হবে। এতে অপরাধ প্রমাণ হলে সাজা মেনে নেওয়া হবে, মুচলেকায় লেখেন হোসনে-আরা।

এরপর সোমবার(২০ মার্চ) দুপুরে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূমি অফিসের এবং টিএমএসএসের সার্ভেয়াররা একসাথে করতোয়া নদীর সীমানা চিহ্নিত করতে কাজ শুরু করেন৷

ইউএনও ফিরোজা পারভীন বলেন, ‘গত শনিবার এসে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও সেটি অমান্য করে কাজ চলমান রাখে টিএমএসএস। এখানে করতোয়া নদীর মূল প্রবাহকে বাধগ্রস্থ করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। যেটি বলা হয়েছিল এই এলাকার মানুষ করেছে। তবে আমি সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে দেখেছি তারা এটা করেননি এবং তারাও চায় না নদীর স্রোত বন্ধ হোক। তারা জানিয়েছে টিএমএসএসের নির্দেশে এই কাজ চলছে। এখানে এসে নদী ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তাই পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ১৫ ধারা অনুযায়ী টিএমএসএসকে দশ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হলে টিএমএসএসের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সহকারী পরিচালক নজিবর রহমান তিনমাসের কারাভোগ করবেন।’

এদিকে টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘নদীর উপর যে রাস্তা করা হয়েছে তা সাময়িক রাস্তা। যা এই অঞ্চলের মানুষ যাতায়াতের জন্য নির্মাণ করেছে। এর সাথে টিএমএসএসের কোন সম্পৃক্ততা নেই। ফলে এই রায় টিএমএসএসের জন্য হতে পারে না। এজন্য ইউএনও মহোদয়কে রায় স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।’

এনসিএন/বিআর

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print