চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত কয়েক দিন ধরে চলছে তীব্র দাবদাহ। এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও বৃষ্টির হয়নি। ফলে তীব্র রোদ্রের প্রভাবে আমের মুকুল ফুটে বের হওয়া গুটি ঝরে পড়তে শুরু করেছে। কৃষি বিভাগ জানায়, কয়েক দিনের মধ্যে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আমের গুটি ঝরে পড়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬২২ বিঘা জমিতে মোট ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৪০টি আম গাছ রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর জেলায় ৩০ হাজার ৯১১ বিঘা বেশি জমিতে আম গাছ রয়েছে। স্থানীয় একটি বাগানের শ্রমিক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গত বছরের প্রথম দিকে তীব্র দাবদাহে আম চাষিরা দুঃশ্চিন্তায় পড়েছিলেন। পরে বৃষ্টি হওয়ায় আম উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। করোনার কারণে সে সময় আম চাষে লোকসান হয়। কিন্তু এবারের আবহওয়াটা গত বারের চাইতে অনেক ভিন্ন। মৌসুমের প্রথম দিক থেকেই তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে। আগামীতে আবহওয়া কেমন থাকবে তা বোঝা এখন দায় হয়ে গেছে।’
ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপরেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শামিম খান বলেন, কৃষি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি এ সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভবনা আছে। যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে গুটি ঝরা বন্ধ হবে না। আর এ সময়ে আম চাষিরা সেচের ব্যবস্থা করলে, কিছুটা হলেও গুটি ঝরা রোধ করা যেতে পারে। তবে দিনে নয়, রাতে সেচ দিতে হবে। দিনে সেচ দিলে আম গাছের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, তীব্র ক্ষরায় আমের গুটি ঝরে পড়ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে আমের গুটি ঝড়া রোধ হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নিধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন।’