বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানার তালোড়া বাজারে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় মূল হোতা জুয়েলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত টাকা ও মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া নওদাপাড়া এলাকার নবাব আলীর ছেলে জুয়েল প্রাং (২৬), শিবগঞ্জ উপজেলার খেউনী বিন্ন্যাচাপড় এলাকার বাছেদ প্রামানিকের ছেলে বাহালুল প্রামানিক রাজু (২৯), কাহালু উপজেলার পোগইল এলাকার নাছির উদ্দীনের ছেলে ইমরান (৩১) ও দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া শাবলা এলাকার হাফিজার রহমানের ছেলে আসলাম (২৫)।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) গভীর রাতে। রাত আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটের দিকে দুপচাঁচিয়া থানাধীন তালোড়া পৌরসভার তালোড়া বাজার এলাকার হিমু পোদ্দার আগরওয়ালা (৬২) এর বাড়িতে ৫ থেকে ৭ জন অজ্ঞাতনামা ডাকাত প্রবেশ করে। তারা বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করে এবং নগদ আনুমানিক দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন লুট করে।
এ সময় ডাকাত দল বিমলা পোদ্দার (৬৫)-কে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ডাকাতরা ভোর ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বলে জানা যায়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর বগুড়া জেলা পুলিশের ডিবি টিম দ্রুত অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূল হোতা জুয়েলসহ সহযোগী আসলাম, ইমরান ও রাজুকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে লুট হওয়া টাকার মধ্যে ১৩ হাজার টাকা, নিহত ভিকটিম বিমলার মোবাইল ফোনসহ মোট দুটি লুন্ঠিত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ আরো জানায়, আসামি বাহালুল ইসলাম রাজুর বিরুদ্ধে ইত্যোপূর্বে ডাকাতি, চুরি, দস্যুতাসহ মোট ৪টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও ইমরানের বিরুদ্ধে মাদক আইনে ২টি মামলা, আসলামের বিরুদ্ধে চুরির ১টি মামলা ও জুয়েল প্রামানিকের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চুরি ও দস্যুতাসহ মোট ৬টি মামলা বিচারাধীন।
পুলিশ জানায়, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।