অক্টোবর ১৯, ২০২৫ ১:০১ পিএম

এবার আলু যাচ্ছে না রাশিয়ায়!

আলুর কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা। ছবি: এনসিএন
আলুর কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা। ছবি: এনসিএন

সাত বছর আগে বাংলাদেশের ওপর আলু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল রাশিয়া। সেই নিষেধজ্ঞা তুলেও নিয়েছে দেশটি। কিন্তু এমন সময় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে যখন বাস্তবে এর কোনো সুফল মিলবে না। কাগুজে সিদ্ধান্ত হয়ে থাকবে দীর্ঘদিন। বিশেষ করে এ বছর রাশিয়াতে আর আলু রপ্তানির কোনো সম্ভাবনা নেই।

গত ৫ মার্চ বাংলাদেশের ওপর থেকে আলু রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে তাদের সঙ্গে কোনো দেশই স্বাভাবিক আর্থিক লেনদেন করতে পারছে না। ফলে নিষেধাজ্ঞা উঠলেও রাশিয়াতে কবে আলু রপ্তানি করা সম্ভব হবে সেটা এখনও অজানা। এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন বাংলাদেশ আলু রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি ও ফেরদৌস বায়োটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফেরদৌসী বেগম। শুরু থেকে তিনি রাশিয়াতে আলু রপ্তানি করে আসছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুবিধা আগামী বছর পাওয়া যাবে। সাত বছরের অপেক্ষা আরও এক বছর বাড়বে। কারণ এখন আমাদের রপ্তানি মৌসুম। কিন্তু সে দেশে যুদ্ধ চলছে। এ বছর আর কিছু হবে না।

এখন সাত বছরের হারানো এ বাজার ধরতে বাংলাদেশের আরও দীর্ঘসময় লাগবে জানিয়ে ফেরদৌসী বেগম বলেন, সাত বছর কোনো বায়ারের (ক্রেতা) সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই। তারা কিন্তু বাংলাদেশের থেকে আলু নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে বসে নেই। তাদেরও নতুন করে খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু সেটা কঠিন প্রতিযোগিতা হবে। কারণ আমাদের জায়গাটা ভারত ও চীন ধরে ফেলেছে। এখন সেসব বায়ারকে আগের মতো আলু দেওয়া অনেক সময়সাপেক্ষ।

ফেরদৌসী বেগম বলেন, বায়ার আমরা তৈরি করি। এক্ষেত্রে সরকার কোনো সহায়তা দেয় না। এখন বাজার ধরতে হলে সরকারের বড় সহায়তা প্রয়োজন। মেলা, প্রদর্শনী রোডশো করে রাশিয়াকে বাংলাদেশের সেই হারানো বাজার সম্পর্কে জানাতে হবে। নতুবা এতদিন পর বায়াররা আগ্রহী হবেন না।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, রাশিয়া আলুর জন্য একটি বড় বাজার। কারণ সেখানে অন্যতম প্রধান খাদ্য আলু। রাশিয়ার মাধ্যমে ইউক্রেন ও পোল্যান্ডের মতো দেশগুলোর বাজারেও প্রবেশ করা যায়। সবমিলে রাশিয়াতে আলু রপ্তানি হতে পারে অন্তত পাঁচ লাখ টন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print