মে ২, ২০২৪ ৭:৪৩ পিএম

নওগাঁয় ঝাড়ু হাতে সন্ত্রাসী বাহিনীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

নওগাঁয় মোশাররফ হোসেন শান্ত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে ঝাঁড়ু মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আদালতের সামনের সড়কে এ কর্মসূচী পালিত হয়।

সাজ্জাদ হোসেন, হাজী সোহেল ও সারোয়ারদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করায় বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকাবাসী এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ কবিরাজ এর সভাপতিত্বে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামেদ আলী, স্থানীয় বাসিন্দা চাঁন মোহাম্মদ চান্দু, আব্দুস ছালাম, গোলাম রব্বানী সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যসহ এলাকার প্রায় দুই শতাধিক এলাকাবাসী ঝাঁড়– হাতে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- মোশাররফ হোসেন শান্ত নওগাঁ শহরের চকগোবিন্দ এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে। শান্ত বাহিনীর অত্যাচারে পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকা অতিষ্ট। দোকানদারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নিতো। আর চাঁদা না দিলে বিড়ম্বনায় পড়তো হতো দোকানীদের। শান্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় কাউকেই তোয়াক্কা করে না।

গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকায় দেশীয় অস্ত্র হাসুয়াসহ বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোশাররফ হোসেন শান্ত ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া দেয়। সেখানে পল্লী বিদ্যুৎ এর ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেনকে প্রকাশ্য কুপিয়ে জখম করে মোশাররফ হোসেন শান্তসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা। পরে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়।

পরদিন ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলার একঘন্টার মধ্যে মোশাররফ হোসেন শান্তকে আটক করে আদালতে পাঠায় সদর থানা পুলিশ। পরবর্তীতে আরও দুইজনকে আটক করে আদালতে পাঠায় থানা পুলিশ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের ভয়ে ঠিকমতো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছে না। তাই মোশাররফ হোসেন শান্ত’র দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগী ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত নববর্ষের দিনে বাসস্টান্ডে মোশারফ হোসেন শান্ত আমার পথরোধ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তার সাথে থাকা ১০-১২ জনের প্রত্যেকের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিলো। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ভাবে কোপাতে থাকে। আমাকে বাঁচাতে ছেলে হৃদয় ছুটে আসলে তাকে বেদম মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করলে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে শান্ত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print