মে ১১, ২০২৪ ১:২১ পিএম

দেশী ও আমদানিকৃত কাঁচা মরিচের মূল্য সমান

বগুড়ার বাজারে পেঁয়াজ-রসুনে মূল্যসন্ত্রাস

বগুড়ার বাজারগুলোতে চলছে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, রসুনের মূল্যসন্ত্রাস। কাঁচা মশলার মূল্য মিটাতে নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের। বিশেষ করে দেশী ও আমদানিকৃত ভারতীয় কাঁচা মরিচের মূল্য চলে এসেছে এক কাতারে।

শনিবার (১৯ আগস্ট) বগুড়ার পাইকারি বাজার রাজা বাজার ঘুরে এ অবস্থা দেখা গেছে।

বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।

এদিকে, বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের মূল্য। প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা কেজি পাইকারি, খুচরা ৮৫ টাকা, আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৫২ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

দেশে চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ রসুন দেশে উৎপাদিত হলেও দামের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। রসুন পাইকারি ২২০ টাকা এবং খুচরা ২৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে স্থিতিশীল আছে মশলাদ্রব্য আদার মূল্য। আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা প্রতিকেজি।

বাজারে যে নৈরাজ্য চলছে তা মনিটরিং না থাকায় একটা পণ্যের দাম কমলেও অন্য পাঁচটা পণ্যের মূল্য নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মনে করেন ক্রেতারা।

মাছের বাজারের ক্রেতা সাহিনুর আলম বলেন, মশলাজাতীয় পণ্যে, চাল-ডালে উৎপাদন খরচ বেড়েছে বলে মূল্য বেড়েছে। কিন্তু ইলিশ মাছের দাম এত বাড়লো কেন? এটা তো প্রকৃতিক সম্পদ। ইলিশ মাছ চাষ করতে হয় না, চাষের খরচ বৃদ্ধিরও প্রশ্ন নেই। সেখানে দাম বাড়বে কেন? এ কথা শুনে তার আশেপাশে থাকা ক্রেতারা কেউ কিছু না বলে
কেবল দীর্ঘশ্বাস ফেলে চলে গেলেন।

মরিচের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচলক মতলুবুর রহমান জানান, হঠাৎ দেশ জুড়ে প্রবল বর্ষণে মরিচসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যখন এই সময় খরিপ-২ জাতের মরিচ ফলন দেবে ঠিক সেই সময় মরিচের ক্ষেতে বৃষ্টির পানির জলাবদ্ধতায় মরিচের জোয়ার নষ্ট হয়ে গেছে।

জেলা আবহাওয়া অফিসের পরিসংখানবিদ নজরুল ইসলাম বলেন, গত ১২ থেকে এক সপ্তাহে জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৬২ মিলিমিটার। এছাড়া জেলার বাইরে উপজেলা বা আবহাওয়া অফিসের বাইরে বৃষ্টি হলেও তা রেকর্ড করা সম্ভব হয়না। সে প্রযুক্তি আমাদের নেই।

কিন্তু আমদানীকৃত কাঁচা মরিচ ও দেশী মরিচের মূল্য কেন এক কাতারে দাঁড়ালো তার ব্যাখ্যায় কৃষি কর্মকর্তারা জানান, দেশী মরিচর সংকট দেখে আমদানীকারকদের একটি সিন্ডিকেট সুযোগ নিয়েছে। দেশী মরিচ উৎপাদনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় দেশের মরিচের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা আর খুচরা বাজারে ২৫০ টাকা কেজি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ভারতীয় আর দেশী কাঁচা মরিচের দাম সমান হওয়ার বিষয়টি দেখার জন্য ভোক্তা অধিকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এনসিএন/এসকে

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print