অক্টোবর ১৯, ২০২৫ ২:২২ এএম

বগুড়ার বাজারে লিচু, দাম বেশি বলছেন ক্রেতারা

বগুড়া শহরের কাঠালতলায় মৌসুমি ফল লিচু বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ী কোকোলা। ছবি: এনসিএন
বগুড়া শহরের কাঠালতলায় মৌসুমি ফল লিচু বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ী কোকোলা। ছবি: এনসিএন

বগুড়ার বিভিন্ন বাজারে মৌসুমি ফল লিচু উঠতে শুরু করেছে। রসাল এই ফলের দাম বেশি হওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ভোক্তাদের মধ্যে। তবে উৎপাদন কম ও পণ্যের চাহিদা থাকায় দাম বেশি বলছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, জৈষ্ঠ্য মাসের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাজারে লিচু আসছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কখনো ১০০টি আবার কখনো কেজিতে লিচু বিক্রি করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন স্টেশন রোড, সাতমাথা, থানার মোড় ও কাঠালতলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বোম্বে, মুজাফফরি, মাদরাজী ও চায়না-৩ এই চার জাতের লিচুর আনোগোনা বেশি। এসব লিচুর মধ্যে রাজশাহীর মাদরাজি ও বোম্বে লিচুর চাহিদা খানিকটা বেশি। তবে বাজারে এখনো দিনাজপুরের লিচুর দেখা মেলেনি।

ব্যবসায়ীদের কথায়, দেশের বাজারে দিনাজপুরের লিচুর চাহিদা তুলনামূলক বেশি। কিন্তু ওই এলাকার লিচু এখনো আসেনি। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শহরের বাজারগুলোতে এই লিচু আসবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে বাজারে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী দাম বেশি পাওয়ায় সব লিচু বিক্রি করে দিচ্ছেন বাগান মালিকেরা। বগুড়ার শেরপুরের লিচু বাগান মালিক মো. মাসুম বলেন, ‘এবার বাগানের অনেক গাছের লিচু নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে বাজারে চাহিদা থাকায় আমরা সব লিচু বিক্রি করে দিচ্ছি। এতে অন্তত আমাদের লোকসানটা গুনতে হবে না।

তিনি বলেন, ‘আমার বাগানে চায়না-৩ জাতের লিচু ছিল। এসব লিচু বগুড়ার বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা কিনে নিয়েছে। ১০০টি লিচু বিক্রি করেছি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়।’

শহরের খুচরা বাজারগুলোতে মানভেদে ১০০টি চায়না-৩ জাতের লিচু বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। এছাড়াও বোম্বে ২৪০ টাকা, মুজাফফরি ২০০ টাকা, মাদরাজী ২২০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্টেশন রোডের আরবী ফল ভান্ডারের আড়তদার মো. মিরাজুল বলেন, আমাদের এখানে মুজাফফরি ও বোম্বে জাতের লিচু পাওয়া যাচ্ছে। এসব লিচু হাজারে ১৬’শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। তবে এখনো চায়না-৩ জাতের লিচু আসেনি। খুচরা বাজারে যারা বিক্রি করছেন তাদের অনেকেই সরাসরি বাগান থেকে কিনছেন।

কাঠালতলা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আসলাম জানিয়েছেন, ‘বাজারে লিচুর চাহিদা রয়েছে। তবে ফলের উৎপাদন কম হওয়ার কারণে আমাদের বেশি দামে লিচু কিনতে হয়েছে। ক্রেতাদের অনেকেই ১০০টি লিচুও কিনছেন আবার কেউ কেউ কেজিতেও কিনছেন। ক্রেতাদের সুবিধায় আমরা দুইভাবে লিচু বিক্রি করছি।’

কয়েকজন ক্রেতা বলেন, এই মৌসুম ফলটি সুস্বাদু ও রসাল হওয়ায় চাহিদা সর্বদায় বেশি থাকে। তবে বাজারে লিচুর সরবরাহ থাকলেও দাম বেশি বলছেন তারা।

এনসিএন/এআইএ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print