অক্টোবর ১৯, ২০২৫ ১:০১ পিএম

৭ এপ্রিল থেকে বগুড়ায় দ্বিতীয় ধাপে টিসিবির পন্য বিক্রি হবে থেকে

ছবি প্রতীকী।
ছবি প্রতীকী।

বগুড়া, ৩ এপ্রিল ২০২২ : নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রনে আনতে রমজানে ভর্তুকি মূল্যে পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে বগুড়ায় দ্বিতীয় ধাপে টিসিবির দ্বিতীয় দফায় ৪ টি পন্য আগামী ৭ এপ্রিল থেকে বিক্রি করা হবে। প্রথম ধাপে ২০ মার্চ রোববার থেকে পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে বগুড়ায় ১ লাখ ৬৩ হাজার ১৯৮ পরিবারকে টিসিবির মাধ্যমে সরকারের ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হয়। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্টেট পলাশ চন্দ্র সরকার জানান, প্রথম দফায় কার্ডে মাধ্যমে ৩১ মার্চের মাধ্যমে পন্য সরবরাহ করা কথা থাকালেও ৩০ মার্চের মধ্যে পন্য সরবরাহ করা শেষ হয়েছে। প্রথম ধাপে ২ লিটার সয়াবিন, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি চিনি দেয়া হয়। এবার দ্বিতীয় ধাপে ১ টি পন্য ছোলা সংযোজন হবে। সয়াবিন ১১০ টাকা, মসুর ডাল ৬৫ টাকা কেজি, চিনি ৫৫ টাকা ও ছোলা ৫০ টাকা কেজিতে দেয়া হবে। ৯৬ জন ডিলারের মাধ্যমে এই সকল পন্য বিক্রি হবে।

সরকারের ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের আওতায় এ বছর রমজান মাস উপলক্ষে বগুড়ায় ১ লাখ ৬৩ হাজার ১৯৮ পরিবারকে কম মূল্যে পণ্য বিতরণ করবে জেলা প্রশাসন। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নির্ধারিত ৯৬ জন ডিলারের মাধ্যমে মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও চিনি বিক্রি করা হবে।

আগামী ২০ মার্চ সকাল ৯টায় সদরের ফাঁপড় ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এরই মধ্যে জেলার ১২টি পৌরসভা ও ১২টি উপজেলার মাধ্যমে তালিকা তৈরি করেছে । জেলায় ২৭৫ টি পয়েন্টে টিসিবির নির্ধারিত ৯৬ জন ডিলারের মাধ্যমে এ পণ্য বিতরণ করা হবে।

ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে একজন কার্ডধারী ৫৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি চিনি, ১১০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল ও ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। প্রথম ধাপে পণ্য পাবেন ২০ মার্চ থেকে । ৭ এপ্রিল ২য় ধাপে অন্য পন্যের সাথে শুধু ছোলা যুক্ত হবে।

১২টি উপজেলায় এক লাখ ৬৩ হাজার ১৯৮টি পরিবার টিসিবি’র কার্ড পায়েছেন । এর মধ্যে আদমদীঘিতে ৯ হাজার ৮৬৬টি পরিবার , সদর উপজেলায় ২৬ হাজার ৩৪২টি , ধুনটে ১৬ হাজার ৪১০টি, দুপচাঁচিয়ায় ১১ হাজার ২৯৫টি, গাবতলীতে ১৬ হাজার ৩৫৩টি, কাহালুতে ৯ হাজার ৩১৯টি, নন্দীগ্রামে ১০ হাজার ২১টি, সারিয়াকান্দিতে ১৪ হাজার ৭৩৯টি, শাজাহানপুরে ৬ হাজার ৫৫টি, শেরপুরে ১৩ হাজার ৭৯৬টি, শিবগঞ্জে ১৬ হাজার ২৩৭টি এবং সোনাতলায় ১২ হাজার ৭৬৫টি পরিবার ।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print