কাঁচা মরিচের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানীর পর থেকে বাজারে মরিচের দাম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
গত এক সপ্তাহ আগে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে খুচরা ২৪০ টাকা কেজি ।সেই মরিচ এখন বগুড়ার বাজারে বিক্রি হচ্ছে খুচরা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকাকেজি।
হিলি স্থল বন্দরের বাংলাদেশের এক আমদানী কারক হারুনার রশিদ জানান, হিলি সীমান্ত বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০ টন কাঁচা মরিচ আসছে । এই মরিচ আসছে ভারতের বোম্বে থেকে। বগুড়ার বাজারে দেশীয় কাঁচা মরিচ খুচরা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। আর ভারতের মরিচ বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ১৪০ টাকা কেজি।
ভারতের মরিচ ও বাংলাদেশী মরিচের মধ্যে গুনগত কোন পার্থক্য নেই বলে জানান বগুড়া ফতেহ আলী বাজারে খুচরা বিত্রেতা আব্দুল মতিন। তাই অধিকাংশ মানুষ আমদানীকৃত মরিচের দিকে ঝুকছেন। দেশী মরিচ পাইকরি ১৪০ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে।
আমদানী কারক হারুনার রশিদ আরো জানান, বৃষ্টি না হলে কাঁচা মরিচের দাম আরো কমে যাবে। তিনি জানান বছরের জুন ও জুলাই মাসে দেশে মরিচ উৎপাদন কম হয়। তাই মরিচ সংকট দেখা দেয়। ভারতে আমদানী কারকদের কেনা পড়ে ১১০ টাকা কেজি। এখন আমদানীকৃত মরিচে তাদের তেমন লাভ থাকে না এমনটি জানালেন কয়েকজন আমদানীকারক।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ জানায় বছরের জুন-জুলই মাসে মরিচের ফলন কম হয়। ফলে মরিচ সংকট দেখা দেয়। শীত কালের আগে অর্থাৎ অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে মরিচের উৎপাদন স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তখন দামও কমে যাবে।