জুলাই ২৩, ২০২৫ ৯:৫৪ পিএম

৭৫ দিনে বদলেছে রাসিকের কার্যক্রম

নিয়ম মেনে কাজ করেও বিপাকে রাসিক কর্মকর্তারা

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নিয়মনীতি অনুসারে কাজ করেও বিপাকে পড়েছেন রাসিকের প্রশাসক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব।

সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কাজে তাদের বিঘ্নিতা সৃষ্টি করছেন ঠিকাদাররা। এতে করে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে রাসিকের কর্মকর্তাদের। এ ব্যাপারে গত রবিবার সকালে রাসিকের বিভিন্ন বিষয়সহ সচিবের বিরুদ্ধে ‘বিলের ফাইল ছাড়ে না’ এমন অভিযোগ তুলেছেন ঠিকাদাররা। অথচ যোগদানের পর ৪৮ কর্মদিবসে ৩১কোটি ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ৩৬৮ টাকা বিল প্রদান করেছেন ঠিকাদারদের। ঠিকাদারদের করা অভিযোগটি ভিত্তিহীন বলে জানান রাসিকের দায়িত্বরতরা।

জানা যায়, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে গত আড়াই মাস আগে সচিব পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন রুমানা আফরোজ। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও রাসিকের প্রশাসকের নির্দেশনায় মহানগরীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন পরিকল্পনার উদ্যোগ গ্রহণে সাচিবিক সহায়তা দেওয়া ও নিজ দপ্তরের যাবতীয় কার্যক্রম সফলতার সাথে সম্পন্ন করে আসছেন তিনি। জনসাধারণের সুবিধার্থে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের কাজের জন্য স্ব স্ব বিভাগ রয়েছে। পরিচ্ছন্ন প্রধান কর্মকর্তা ময়লা আর্বজনা পরিষ্কার, মশা নিধন, জলাবদ্ধতা নিরসন করা। স্বাস্থ্য প্রধান কর্মকর্তা জন্ম, মৃত্যু নিবন্ধন ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখভাল করা। প্রকৌশল বিভাগ উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজ ও বিদ্যুৎ বিভাগ বিদ্যুৎ সম্পর্কিত কাজ, রাজস্ব প্রধান কর্মকর্তা রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত বিষয় দেখাশুনা করে থাকে। ওয়ার্ড সচিবদের কাজ সকল ধরনের নাগরিক সেবা সেবাপ্রত্যাশীদের ওয়ার্ড পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া। এতে সেবাপ্রত্যাশী কোন রকম ভোগান্তি শিকার না হয়। অথচ রাসিকের সচিবের বিরুদ্ধে সমস্ত দপ্তরের দায়ভার চাপিয়ে দিচ্ছেন অভিযোগকারীরা। অভিযোগ উঠেছে নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, এনওসি, বিভিন্ন ছাড়পত্র ও বিদ্যুৎ সংযোগসহ নানা সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অথচ প্রত্যেক দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তরা রয়েছেন তাদের এসব বিষয়ে তারা দেখভাল করেন। কিন্তু কোন দপ্তরের কি কাজ এই বিষয়গুলো তুলে না ধরে আক্রোশমূলক সচিবের উপর দায় চাপাচ্ছেন অভিযোগকারীরা। তাছাড়া যেগুলো ঠিকাদার অভিযোগ করেছেন বেশিরভাগ সাব ঠিকাদার বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। এদিকে রাসিকের সচিব ৪৮ দিন কাজের বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করে এবং ঠিকাদারদের ৩১কোটি ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ৩৬৮ টাকা বিল প্রদান করেন। প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের সময় ত্রুটি এবং কিছু রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারনে তাদের ওই কাজের এস্টিমেট সংশোধন এবং ওইসব নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে সতর্ক করে দেন রাসিকের দায়িত্বরতরা। এছাড়াও একজন কর্মচারীর ব্যক্তিগত ফাইল এখানে আটকে নেই। কর্মচারীদের কোন টাকা বকেয়া নেই। শুধু তাই নয় কর্মচারীদের কল্যাণের জন্য স্থায়ী আনুতোষিক ফান্ডে ৫০কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষা বৃত্তির জন্য ৫ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করাও হয়েছে। বিনোদন কেন্দ্র পার্কের ভিতরে মসজিদ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পার্কে পরিকল্পনা অনুযায়ী বৃক্ষ রোপণ, নতুন পশু পাখি সংযোজন, রাইড সংযোজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে বেড়েছে দর্শনাথীদের সংখ্যা। বাড়ছে রাজস্ব আয়। এভাবে প্রায় আড়াই মাসে সকলের সহযোগিতায় রাসিকের কার্যক্রম দিন দিন বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোন্দকার আজিম আহমেদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print