পেঁয়াজের সাথে এবার আটার বাজার অস্থির হয়ে উঠছে। আটার মিল মালিকরা জানান ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে সিংহ ভাগ গম আমদানী হতো বাংলাদেশ। বর্তমানে ওই দুই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় গত কয়েকমাস ধরে গম আমদানি কমে গেছে।
বগুড়ার আটার মিল মালিক পরিমল সিংহ জানান, ‘যে টুকু গম ভারত থেকে আমদানী অব্যাহত হতো তা হঠাৎ করে ভারত গম রফতানী বন্ধের খবরে দেশে আটার বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। দেশে আমদানীকৃত গম এখন তলানীতে।’
বগুড়া ভান্ডারের সবত্বাধীকারি তোফাজ্জল হোসেন জানান, গত শনিবার আটা বিক্রি (খোলা) করেছে ৩৫ টাকা। রোববার প্রতিকেজি ( খোলা) আটা বিক্রি হয়েছে ৪২ টাকা। আর প্যাকেট আটা ঈদের পর থেকে বাড়তে শুরু করেছে । এদনি প্যাকেটজাত আটা প্রতিকেজি ৪০ টাকা থেকে এক লাফে ৪৮ টাকায় উঠেছে।
হিলি স্থল বন্দর ও আমদানী কারকদের সূত্র থেকে জানা গেছে যে সব আমদানী কারক ১২ তালিখ পর্যন্ত এলসি করেছে তাদের গম দেশে আসছে। ১২ মে’র পর আর কোন এলসি নেবেনা ভারত। অর্থাৎ ১২ মে’র পর আর ভারতীয় গম বাংলাদেশে ঢুকবে না।
বগুড়ার আাটার মিলারা জানান বিভিন্ন দেশ থেকে গম আমদানী বন্ধ হয়ে গেলে আর ১০ দিনের মধ্যে জেলার সব আটার মিল বন্ধ হয়ে যাবে। জেলার আটার মিল মালিকরা জানান, তারা এখন দেশে উৎপাদিত গম সংগ্রহ করে মিল চালু রেখেছেন।
এনসিএন/এএ