সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা শাখার সাবেক সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ও তার স্ত্রীর মাহবুবা সুলতানার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার দুদকের বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তারিকুর রহমান জেলা কার্যালয়ে এ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন বলে নর্থ ক্যাপিটাল নিউজকে নিশ্চিত করেন।
মামলায় আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে ৫৬ লাখ ৪২ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৪৮ লাখ ৫১ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলের অভিযোগ আনা হয়।
অপর মামলায় তার স্ত্রী মাহবুবা সুলতানার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৪৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহার সূত্র জানা যায়, আসামি আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৯ সালের ২০ মার্চ তাকে সম্পদের বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয়া হয়। ঐ বছরের ২৭ মার্চ তিনি সম্পদের বিবরণী জমা দেন। তাতে ৫৬ লাখ ৪২ হাজার ৩৭৪ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ভিত্তিহীন ঘোষণা দিয়ে ৪৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৫৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখল করছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) এবং ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অন্যদিকে আরিফুর রহমানের স্ত্রী মাহবুবা সুলতানার মামলায় বলা হয়, আরিফুর রহমানের অবৈধ সম্পদের অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৯ সালের ২০ মার্চ মাহবুবা সুলতানার সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়। নোটিশের জবাবে মাহবুবা সুলতানার ৫৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। মাহবুবা সুলতানার ১০ লাখ ২৪ হাজার টাকার দায়-দেনা ছাড়া তার আয়ের কোন উৎস নেই। আসামি আরিফুর রহমান তার অবৈধ সম্পদের উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে স্ত্রীকে সম্পদ হস্তান্তর করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়।
এনসিএন/এসকে