বগুড়ায় সালিস বৈঠক চলাকালীন ১৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি কাওছার মিয়াসহ তার পরিবারের পাঁচ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়ায় এলাকায় ১৮ নম্বর ওয়ার্ড অফিসের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ইদ্রিস আলী (৭৮), তার ছেলে বগুড়া পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি কাওছার মিয়া (৪২), মাহামুদ আলী (৩৫), রফিকুল ইসলাম (৫৩) ও তার ছেলে মো. শাওন (২৩)। বর্তমানে তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে যুবলীগ নেতা কাওছার মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক।
আহত মো. শাওনের সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ফুলবাড়ি মৃদ্দাপাড়ায় ১১ শতক জায়গায় নিয়ে স্থানীয় শাহীনুর নামে এক ব্যক্তির সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ বিষয়ে সমাধানের জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজু হোসেন পাইকাড়ের অফিসে সকাল ৯টার দিকে সালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়৷ বৈঠকের একপর্যায়ে শাহিনুর অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করলে আমরা পরিবারের সবাই বেরিয়ে আসতে লাগি। এই সময় বহিরাগত ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত চাপাতি ও হকিস্টিক নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। শাহিনুরও তাদের সাথে গিয়ে আমার চাচা কাওছারকে হত্যার নির্দেশ দেয়। চাচাকে বাঁচাতে গেলে আমাদের সবাইকেও কুপিয়ে জখম করে।
শাওন আরও বলেন, শাহীনুরের স্ত্রী ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর। এর প্রাভাবে তিনি এলাকার প্রায় সবার জমিই দখলের চেষ্টা করেন। কিছুদিন আগেও তিনি বহিরাগত দুর্বৃত্তদের নিয়ে এলাকার মহিলাদের ওপর হামলা করেছিলেন।
বগুড়া পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজু হোসেন পাইকাড় জানান, ফুলবাড়ি এলাকার ১১ শতক জায়গা নিয়ে কাওছার ও শাহিনুরে মধ্যে ঝামেলা চলে আসছিল। এই নিয়ে শনিবার সকালে সালিস বৈঠক বসানো হয়। বৈঠকের মধ্যেই বাকবিতণ্ডতা শুরু হলে শাহিনুর বহিরাগত কিছু দুর্বৃত্তসহ কাওছার ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপরে হামলা চালায়।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রউফ জানান, জমিজমার দ্বন্দ্বে পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
এনসিএন/বিআর