মে ১১, ২০২৫ ৮:০৫ পিএম

সুদে টাকা খাটান পুলিশ সদস্য আজাহার, আছে চাঁদাবাজির অভিযোগ

বগুড়া জেলার শেরপুর থানার সাবেক ও বর্তমান বগুড়ার শাজাহানপুর থানার কর্মরত এস আই (নিঃ) আজাহার আলীর বিরুদ্ধে সুদের ব্যবসা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি এক কাপড় ব্যবসায়ীকে ২ লাখ টাকা ধার দিয়ে পরবর্তীতে ১৩ লাখ টাকা সুদসহ আদায় করেন।

অভিযোগকারী ব্যক্তি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের ফুলবাড়ি এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আরজুল্লাহ।

জানা যায়, ২০২৩ সালের রমজান মাসে ওই ব্যবসায়ী আবারও এসআই আজাহার আলীর কাছ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা ধার নেন। এক মাসের মধ্যেই সুদসহ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন এবং বাকি ৬৫ হাজার টাকা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে পরিশোধের শর্ত ছিল। কিন্তু পাওনা আদায়ের আগেই এসআই আজাহার আলী তার স্ত্রী মোছাঃ স্বপনা বেগমকে বাদী করে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকার একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসআই আজাহার আলী অতীতে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের সুদ গ্রহণ করেছেন। এমনকি ইটভাটার মালিকদের সঙ্গেও সুদের ভিত্তিতে লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

স্থানীয়দের মতে, পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা এই বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

সাব ইন্সপেক্টর আজাহারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি বা আমার স্ত্রী তার কাছে কোন সুদ হিসাবে কোন টাকা দেই নাই। আমি তার থেকে ইট কেনা বাবদে টাকা পাবো। সে আমার থেকে টাকা নিয়ে ইট দেয় নাই, তাই আমার স্ত্রী আরজুল্লাহ’র নামে আদালতে মামলা করেছেন। আরজুল্লাহ মামলাতে হেরে যাবার ভয়ে এখন সাংবাদিকদের দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছেন। আদালতে যদি আমার স্ত্রী মামলায় হেরে যায় আদালত আমার স্ত্রীকে যে শাস্তি দেবে, আমার স্ত্রী ওই শাস্তি মেনে নেবে। এদিকে সাব ইন্সপেক্টর আজাহারের স্ত্রী স্বপনা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

বগুড়া সদর থানায় মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস, এম মঈনুদ্দিন বলেন, যেকোন বিষয়ে মামলা নেয়ার মতে হলে আমরা মামলা নিয়ে থাকি। তবে মামলা হবার পড়েও তদন্ত চলমান থাকে। তদন্তের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দাখিল করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে বগুড়ার সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মুঞ্জুর বলেন, সাব ইন্সপেক্টর আজাহারের পক্ষে আদালতে একটা মামলা চলমান রয়েছে, তবে পূর্ণাঙ্গ বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কেউ সাব ইন্সপেক্টর আজাহারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন, তাহলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print